ওয়েব ডেস্ক: কেউ ভাল করে কথা বলে না। সকালে  ঘুম থেকে ওঠার পর এক কাপ গরম চা---সেটাও জোটে না। দাওয়ায় বসে দেখা যায় ছেলে-বউমা ধোঁয়া ওঠা কাপ হাতে নিয়ে গল্প করছে। এতো সুখের কথা। কিন্তু বড় কষ্ট পান সুভদ্রা হালদার। রাতের শুকনো রুটি হজম হয়েছে অনেকক্ষণ। বড় খিদে। বেলা গড়ালেও কেউ ফিরে তাকায়না। অথচ ঘরে হচ্ছে সবকিছু। রান্নাঘর থেকে ভেসে আসে ডালে সম্বার দেওয়ার গন্ধ, খিদে চাগিয়ে ওঠে। চিত্‍কার করে বলতে ইচ্ছে করে---খিদে পেয়েছে। লজ্জা লাগে। বাইরের কেউ যদি জানতে পারে--গলার স্বর নেমে যায়। সেই নেমে আসা স্বরেই তেলবেগুনে জ্বলে ওঠে বড় বউমা। রান্নাঘর থেকে ছুটে এসে শাশুড়ির মুখে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিয়ে দেয়।দেড় বছর আগে স্বামী মারা গেছেন। তেষট্টি বছরের বৃদ্ধা সুভদ্রা হালদার এখন বড় একা। বড় ছেলে, বউমা খেতে দেয়না। ছোট ছেলে দুমুঠো খাবার দিলেও ছোট বউমার  অত্যাচার লাগাম ছাড়া। সবার একটাই কথা জমি বাড়ি লিখে দাও। বৃদ্ধা জানেন,  এখন তাও ঘরে থাকতে পারছেন, জমিবাড়ি লিখে দিলে ঠাঁই হবে রাস্তায়। তিনি লেখেন না। অত্যাচার বাড়ে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন পুলিসের হুমকিতে আত্মঘাতী যুবক


প্রতিবেশীরা বলছেন অত্যাচার চোখে দেখা যায়না।আর সহ্য হয়নি। সুভাষ পল্লি থেকে দশ কিলোমিটার পথ হেটে বাদুড়িয়া থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন অশক্ত বৃদ্ধা। ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিস। গ্রেফতার করা হয়েছে দুই বউমাকে। বৃদ্ধাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিত্‍সার জন্য।


আরও পড়ুন  গাইঘাটায় অপমানে আত্মঘাতী দশম শ্রেণির ছাত্রী