Canning: মহাভারতে স্ত্রীকে বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনা ছিল! তাই বলে গর্ভধারিণী মা`কে বিক্রি? কলিযুগের এই একুশ শতকে?
Mother Sold By Son: ৫০ হাজার টাকার বিনিময় মাকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে ক্যানিং থানার পুলিস। তদন্তে নেমে প্রায় ১১ দিন পরে জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগর থেকে হতভাগ্য ওই মা`কে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয় তারা।
প্রসেনজিৎ সরদার: জন্মদাত্রী 'মা'কে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ ছেলে-বৌমার বিরুদ্ধে। ৫০ হাজার টাকার বিনিময় মাকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে ক্যানিং থানার পুলিস। তদন্তে নেমে প্রায় ১১ দিন পরে জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগর থেকে ওই গৃহবধূকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয় ক্যানিং থানার পুলিস। এবং ঘটনার জেরে অভিযুক্ত ছেলে ও বউমাকে তখনই গ্রেফতার করে ক্যানিং থানার পুলিস।
ক্যানিং থানার পুলিস তদন্তে নেমে অভিযুক্ত ছেলে সাহেব শেখের মাকে শ্রীনগর থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। হতভাগ্য বিক্রীত সেই মা জানান, বাড়িতে এসে খুবই খুশি তিনি। ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ একরকম অস্বীকারই করেন তিনি। তাঁর সমস্ত অভিযোগ বউমার বিরুদ্ধেই।
স্বয়ং জন্মদাত্রী 'মা' কে বিক্রি করে দেওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগে গোটা এলাকাই বিস্মিত ও হতবাক। ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং থানার অন্তর্গত ক্যানিং স্টেশন-সংলগ্ন কুঁজিপাড়া এলাকায়। ঘটনায় পুলিস সাহেব সেখ ও তার স্ত্রীকে আটক করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, খুব ছোটবেলায় সাহেবের বাবা মারা যান। মা লোকের বাড়িতে কাজ করে ছেলেকে মানুষ করেন। সাহেব বিয়ে করে কালিকাপুর স্টেশন-সংলগ্ন এলাকায়। বউকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে বসবাস শুরু করে। সাহেবের স্ত্রী অসামাজিক কাজে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের। নারীপাচার কাজেও যুক্ত সাহেবের স্ত্রী-- অভিযোগ এমনই।
বেশ কিছু দিন আগে সাহেব স্ত্রী ও মাকে সঙ্গে নিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে যায় কাজ করতে। সেখানে কাজ মায়ের ভালো লাগেনি। মা ছেলে বৌমার কাছে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার কথা বলেন। এমত অবস্থায় সাহেব ও তার স্ত্রী শ্রীনগরের এক ব্যক্তির কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকায় মাকে বিক্রি করে ক্যানিংয়ে চলে আসে বলে অভিযোগ। সাহেবের মা শ্রীনগর থেকে কোনও এক ব্যক্তির সাহায্যে ক্যানিংয়ে ফোন করে ঘটনার কথা জানান। এরপরই প্রতিবেশীরা সাহেব ও সাহেবের স্ত্রীকে চেপে ধরতেই তারা সমস্ত ঘটনার কথা স্বীকার করে বলে জানা যায়। সাহেবের মা যাতে উদ্ধার হন সেই কারণে সাহেব ও তার স্ত্রীকে ক্যানিং থানার পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়।