ভবানন্দ সিংহ রায়: বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার দম্পতির দেহ। সোমবার সকালে বন্ধ ঘরের ভিতর মিলল স্ত্রীর শায়িত দেহ, ওদিকে স্বামীর ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানার লালবাজারের টেপাগাঁও এলাকায়। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এই ঘটনায় ২৩ বছরের স্ত্রী সোমা রায়কে খুন করে আত্মঘাতী হওয়ার অভিযোগ উঠেছে ২৮ বছরের স্বামী নান্টু রায়ের বিরুদ্ধে। দম্পতির ২ বছরের এক কন্যাসন্তানও রয়েছে। বাবা, মায়ের মৃতদেহের সঙ্গে একই ঘরে ছিল সে-ও। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দম্পতির মধ্যে কোনও পারিবারিক বিবাদ ছিল না। তাহলে কী কারণে কেন খুন? কেন আত্মহত্যা? উত্তর হাতড়াচ্ছে পরিবার। সোমার পরিবারের অভিযোগ, সোমাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হয়েছে স্বামী নান্টু রায়। ওদিকে নান্টুর পরিবার দাবি করেছে, সোমবার সকালে অনেকটা বেলা হয়ে গেলেও ছেলে-বৌমা কেউ ঘুম থেকে ওঠেনি। ওদিক ঘর থেকে মেয়ের কান্না আওয়াজ আসতে থাকে। একরত্তি খুদের কান্নার আওয়াজ শুনে ছেলে-বৌমাকে ঘুম থেকে ডাকাডাকি শুরু করেন বাড়ির লোকেরা। কিন্তু তাতেও কোনও সাড়া মেলেনি। এরপরই ঘরের জানালা বাইরে থেকে খুলে ভিতরে উঁকি দিতেই নান্টু রায়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তাঁর পরিবারের লোকেরা। পাশেই শায়িত অবস্থায় ছিল স্ত্রী সোমার দেহও।


সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় চোপড়া থানায়। খবর পেয়ে চোপড়া থানার পুলিস গিয়ে দেহ দুটি উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় হতভম্ব পরিবারের লোকেরা। দম্পতির মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্দে সবাই। রবিবার রাতেও সব স্বাভাবিক ছিল বলেই দাবি তাঁদের। তবে কী কারণে এমন ঘটনা? উত্তর নেই! এমনকি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বা পরিবারের কারোও সঙ্গে কোনও বিবাদও ছিল না বলেই দাবি বাড়ির লোকেদের। প্রাথমিকভাবে অনুমান,  স্ত্রীকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হয়েছে নান্টু। পরিবারের দাবির প্রেক্ষিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চোপড়া থানার পুলিস।


আরও পড়ুন, Baruipur Ex-Navy Officer Murder: শ্বাসরোধ করেই খুন, প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর দেহ করাত দিয়ে কেটে ৬ টুকরো করে স্ত্রী-ছেলে


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)