নিজস্ব প্রতিবেদন: কলেজের সমস্ত অস্থায়ী শিক্ষকদের এক ছাতার তলায় এনে স্টেট এইডেড টিচারের মর্যাদা দিয়েছে শিক্ষা দফতর। তবে এই সিদ্ধান্তে বেঁকে বসেছেন কলেজের পিএইচডি, নেট, টেট-এর পড়ুয়ারা। আর তার জেরেই আন্দোলনে নেমেছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়-সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অস্থায়ী শিক্ষকদের স্থায়ীকরণেরর ফলে শূন্য়পদ কমে যাওয়ার আশঙ্কায় এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে গত ১৯ অগাস্ট থেকেই আন্দোলন শুরু করেছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডির ছাত্রছাত্রীরা। 



আন্দোলনরত পড়ুয়াদের অভিযোগ, যাঁদের স্টেট এডেড টিচারের আওতায় আনা হয়েছে তাঁরা কেউই কলেজ সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় পাশ করেননি। এর জেরে কমতে পারে শূন্যপদের সংখ্যা ৷ চাকরি পেতে সমস্যায় পড়বেন যোগ্য প্রার্থীরা। এ দিন আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে বিক্ষোভে সামিল হন উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলার গবেষণারত ছাত্র-ছাত্রীরাও। পা মেলান প্রতিবাদ মিছিলে।


এদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, আন্দোলনের জেরে গত ৬ দিন ধরেই বন্ধ রয়েছে সমস্ত বিভাগের পঠনপাঠন। খোলা যায়নি প্রশাসনিক বিভাগও। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে ঢুকতেই পারেননি দপ্তরের কর্মী ও শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরা।


আরও পড়ুন: কলেজের অস্থায়ী শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে প্রচুর সুযোগ সুবিধা


অন্যদিকে উত্তপ্ত কোচবিহারও। একই ইস্যুতে আন্দোলনে নেমেছিলেন পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেট , টেট সহ বিভিন্ন প্রশিক্ষনরত ছাত্র-ছাত্রীরা। সোমবার কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন নেট-টেটের ছাত্র-ছাত্রীরা। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার আব্দুল কাদের সফালির আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং অবস্থান তুলে নেন আন্দোলনকারীরা।


উল্লেখ্য, গত ১৯ অগাস্ট হাওড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে কলেজের অস্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য় একাধিক সুযোগ সুবিধার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩ বিভাগের অস্থায়ী শিক্ষকদের এক ছাতার তলায় এনে নতুন নামকরণ করেছেন তিনি। নাম দেওয়া হয়েছে স্টেট এইডেড টিচার। বেতন পরিকাঠামোর পুনঃনির্মাণের পাশাপাশি স্থায়ীকরণের কথাও ঘোষণা করা হয়েছে এই দিন।