বিজেপির মদতেই গণধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ করছেন ময়নাগুড়ির গৃহবধূ, দাবি তৃণমূলের!
তাঁর দাবি, বিজেপি প্রতিহিংসাবশত এসব চক্রান্ত করছে। এলাকার মহিলাদের দ্বারা মিথ্যা অভিযোগ করাচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কাটমানি ফেরত চাইতে গিয়ে তৃণমূলের উপপ্রধান ও তার অনুগামীদের দ্বারা গণধর্ষিতা হওয়ার অভিযোগ মিথ্যা। এবার পাল্টা দাবি করলেন জলপাইগুড়ি তৃণমূল জেলা সভাপতি কৃষ্ণাকুমার কল্যাণী। তাঁর দাবি, বিজেপি প্রতিহিংসাবশত এসব চক্রান্ত করছে। এলাকার মহিলাদের দ্বারা মিথ্যা অভিযোগ করাচ্ছে।
তিনি জানান, লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে বিজেপি প্রচুর তৃণমূলকর্মীর বাড়ি ভেঙেছে। তাদের উপর সন্ত্রাস চালাচ্ছে। পুলিশকে অভিযোগ জানানোর পর বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী গ্রেফতার হয়েছে। তাই এখন বিজেপি প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে এই কাজ করেছে।
অন্যদিকে, বিজেপিনেতা বিজয় সরকারের দাবি, তৃণমূলের বক্তব্যের কোনও সারবত্তা নেই। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে। নইলে বড় আন্দোলনের পথে নামবে ময়নাগুড়ি।
ময়নাগুড়ি সাপ্টিবাড়ি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গণধর্ষণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযুক্তই গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে এলাকায়। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, অভিযুক্তরা সকলেই শাসকদলের নেতা-কর্মী। তাই তাদের ধরতে ভয় পাচ্ছে পুলিস। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব স্থানীয় বাসিন্দারা।
এদিকে, বুধবারই পুলিসি পাহারায় টোটোতে করে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে গোপোন জবানবন্দি দিতে যান নির্যাতিতা। এলাকায় তল্লাশি চালিয়েও অভিযুক্তদের খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন এই কেসের আইও বিশ্বজিৎ সেন।
নির্যাতিতা বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিত্সক জগন্নাথ সরকার। তিনি জানান গত ওই মহিলা জলপাইগুড়ি মাদার চাইল্ড হাবে ভর্তি রয়েছেন। দফায় দফায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাঁকে দেখেছেন। এখন সুস্থ আছেন তিনি। কোনও ক্ষত চিহ্ন পাওয়া যায়নি। কিন্তু এখনই বলা যাচ্ছেনা মহিলা আদৌ গনধর্ষণের শিকার হয়েছেন কিনা। আরও উন্নত পরীক্ষা করা হচ্ছে।
লাভপুরে মনিরুল ইসলাম ঘনিষ্ঠ বিজেপিনেতাকে বোমা মেরে খুনের ঘটনায় ধৃত তৃণমূলনেতা
নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, ইন্দিরা আবাস যোজনায় ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে অভিযুক্ত তৃণমূলের উপপ্রধান মহম্মদ বুলবুল আলম বছর খানেক আগে তাঁর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নেয়। দশ হাজার টাকা দিতে না পারলেও নির্যাতিতা অভিযুক্তকে ৬ হাজার টাকা দেন। অভিযোগ, এরপরও ওই তালিকায় নাম ওঠেনি তাঁর।
এরপর মহম্মদ বুলবুল আলমের কাছ থেকে বারবার কাটমানির টাকা ফেরত চান গৃহবধূ। তাঁকে টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়। কিন্তু টাকা ফেরত পাননি তিনি। অভিযোগ, গত ১৪ অগাস্ট ফের উপপ্রধানের কাছে কাটমানির টাকা ফেরত চাইতে যান ওই গৃহবধূ। অভিযোগ, তখন তাঁকা ফাঁকা ঘরে আটকে উপপ্রধান ও তার অনুগামীরা গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে। ঘটনার কথা বাইরে কাউকে জানালে প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এতদিন ভয়ে মুখ খুলতে পারেননি গৃহবধূ। মঙ্গলবার পরিবারের সদস্যদের কাছে গোটা বিষয়টি খুলে বলেন তিনি। গতকালই তিনি ময়নাগুড়ি থানায় উপপ্রধান ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন।