লাভপুরে মনিরুল ইসলাম ঘনিষ্ঠ বিজেপিনেতাকে বোমা মেরে খুনের ঘটনায় ধৃত তৃণমূলনেতা
মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। বুধবার তাকে বোলপুর আদালতে পেশ করা হবে। পুলিস জালাল শেখের গাড়িচালককেও গ্রেফতার করেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বীরভূমের লাভপুরে বিজেপিনেতা বোমা মেরে খুনের ঘটনায় এবার গ্রেফতার অভিযুক্ত তৃণমূলনেতা। ধৃতের নাম জালাল শেখ। মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। বুধবার তাকে বোলপুর আদালতে পেশ করা হবে। পুলিস জালাল শেখের গাড়িচালককেও গ্রেফতার করেছে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই লাভপুরের দ্বারকা পঞ্চায়েতের মিরবাঁধ গ্রামের বিজেপি নেতা ডালু শেখকে বোমা মেরে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও প্রথম থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করছিল তৃণমূল।
ডালু শেখ বিধায়ক মনিরুল ইসলাম ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা বলে পরিচিত ছিলেন। লাভপুরের দ্বারকা পঞ্চায়েতের মিরবাঁধ গ্রামের বাসিন্দা তিনি। মৃতের পরিবার এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গত রবিবার রাত নটার সময় ডালু শেখকে লক্ষ্য করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমা ছোড়ে। আর সেই বোমার আঘাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।
কাটমানির টাকা ফেরত চাওয়ায় গৃহবধূকে ‘গণধর্ষণ’ তৃণমূল উপপ্রধান ও তার অনুগামীদের
ডালু শেখ খুনের ঘটনায় পরিবারের তরফে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাতে ১০ নম্বরে নাম ছিল জালাল শেখের। তবে পুলিসের দাবি, ঘটনার মূল চক্রী জালাল শেখই। সেদিন গোটা ঘটনায় সেই মূলত জড়িত ছিল।
লাভপুরে বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় এতদিন কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। এরপরই সরিয়ে দেওয়া হয় রামপুরহাট থানার ওসি চয়ন ঘোষকে। তাঁর বদলে নতুন ওসি হন পার্থসারথী মুখোপাধ্যায়। এরপরই গ্রেফতার হয় তৃণমূলনেতা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত এক জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন লাভপুরে তৃণমূলের বিধায়ক মনিরুল ইসলাম। বোমার আঘাতে নিহত ডালু শেখ মনিরুল ইসলাম ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা বলে স্থানীয়দের দাবি।