`যত কালো রক্ত আছে, বিজেপিতে গিয়ে যোগদান করুক`, শুভেন্দু ইস্যুতে বিস্ফোরক কল্যাণ
শুভেন্দু ইস্যুকে আবার ভিন্ন প্রিজমে দেখছেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'আমরা চাই, যত কালো রক্ত আছে, বিজেপিতে যোগদান করুক'। ফের বেলাগাম শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে শুভেন্দুকে তাঁর কটাক্ষ, 'উনি নিজের ইচ্ছায় মন্ত্রিত্ব ছেড়েছে। কিছু বলার নেই। তবে মনে রেখো, পশ্চিমবাংলায় যে যেখানে জিতেছ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেখিয়েই জিতেছ। ২৯৪টি সিটের মধ্যে তাঁরটাও পড়ে।' এদিকে শুভেন্দু ইস্যুকে আবার ভিন্ন প্রিজমে দেখছেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। জি ২৪ ঘণ্টাকে তিনি জানালেন, 'তৃণমূলের পরবর্তী প্রজন্মে শুভেন্দু অধিকারী সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। তিনি দল ছাড়লে, তৃণমূলের ক্ষতি।'
আরও পড়ুন: ঝালমুড়ির মত তৃণমূল থেকে নেওয়া লোক নিয়ে পাইকারি দল বানাচ্ছে বিজেপি, কটাক্ষ ফিরহাদের
সরকারি কোনও পদে নেই, ছেড়েছেন মন্ত্রিত্বও। তৃণমূলের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর 'মধুচন্দ্রিমা' কি সাঙ্গ হল? পরিবহণমন্ত্রী ইস্তফা দেওয়ার পর শুক্রবার কালীঘাটে নিজের বাড়িতে জরুরি বৈঠক ডাকেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বৈঠকে হাজির ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত বক্সির মতো দলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীরা। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শুভেন্দুর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছেন মমতা। এমনকী, পদত্যাগী মন্ত্রীর হাতে থাকা তিনটি দফতরের দায়িত্ব নিজের হাতে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। শিশির পুত্রের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্কও কি এবার ছিন্ন হবে নাকি একজন সাধারণ বিধায়ক হিসেবে থেকে যাবেন তিনি? তৃণমূলনেত্রীর স্পষ্ট বার্তা, সরকারি পদ ও মন্ত্রিত্ব ছাড়লেও এখনই শুভেন্দুকে বহিষ্কার করা হচ্ছে না। বরং আলোচনার রাস্তার খোলা রয়েছে এখনও। এমনকী কোনও কোনও মহল থেকে এমনও বলা হচ্ছে যে, শুভেন্দু নিজেও নাকি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী! এই যখন পরিস্থিতি, তখন দলের অন্দরে উঠে আসছে নানা মত।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরই প্রথম সভা শুভেন্দুর, তার আগেই এলাকা ছয়লাপ শিবসেনার পতাকায়
উল্লেখ্য, তখনও মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেননি শুভেন্দু অধিকারী। নাম না করে মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতাকে নিশানা করেছিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, 'মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের নামে গাছের তলায় বড় হয়েছিস। ৪টে মন্ত্রিত্ব পেয়েছিস, ৪ খানা চেয়ারে আছিস। কত পেট্রোল পাম্প করেছিস! মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় না থাকলে মিউনিসিপ্যালিটিতে আলু বিক্রি করতিস রে, আলু বিক্রি করতিস রে! নাম না করে পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন শুভেন্দুও।