নিজস্ব প্রতিবেদন: 'এতদিন সরকার মানুষের উঠোনে ছিল, এখন দুয়ারে চলে এসেছে।' 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচি এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে তাঁর বক্তব্য, 'কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেছিলেন। কিন্তু মহারাষ্ট্র, অন্ধপ্রদেশের মতো  অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে থাকা রাজ্যগুলির থেকে বাংলা ভালো করেছে। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করেছে সরকার।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: জি ২৪ ঘণ্টার খবরের জের, মাঝেরহাট ব্রিজ দিয়ে শুরু বাস চলাচল


বিধানসভা ভোটের মুখে সরকারের নয়া প্রকল্পে ব্যাপক সাড়া। মঙ্গলবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচি। ঘড়িতে সকাল দশটা বাজলেই নদিয়ার বিভিন্ন ব্লকে ক্যাম্প অফিসের সামনে মানুষের লম্বা চোখে পড়ছে। কাজকর্ম ঠিকঠাক চলছে তো? জেলার সর্বত্র কড়া নজর রাখছে প্রশাসনও। তবে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের শিবিরেই ভিড় হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। এসএস-এসটি সার্টিফিকেটে পাওয়ার জন্য আসছেন বহু মানুষ। 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচির কাজ সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে শুক্রবার শান্তিপুরের বেলঘড়িয়া কনভার্ট বেসিক প্রাইমারি স্কুলের শিবিরে যান নদিয়ার জেলাশাসক পার্থ ঘোষ।


আরও পড়ুন: একের পর এক পশ্চিমী ঝঞ্ঝায় বাধা পাচ্ছে উত্তুরে হাওয়া, রাজ্যে শীত ঢুকতে এখনও দেরি


উল্লেখ্য, বুধবার 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক, বিডিও, এসডি-সহ সাড়ে চারশোজন সরকারি আধিকারিকের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি আধিকারিকদের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, 'দুয়ারে সরকারের' ক্যাম্পে এসে কোনও মানুষ যেন খালি হাতে ফিরে না যান, হয়রানির শিকার না হয়। সকলকেই প্রয়োজনমতো পরিষেবা দিতে হবে। এখনও পর্যন্ত স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়েই সাধারণ মানুষের উৎসাহ সবচেয়ে বেশি। এই প্রকল্পের কার্ডটি আবার বায়োমেট্রিক। সেক্ষেত্রে কেউ যদি প্রয়োজনীয় ফর্ম ফিলাপ করতে না পারেন, তাহলে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি আধকারিককেই ফর্ম ফিলাপ করে সাহায্য করতে হবে। প্রতিদিন রাজ্য জুড়ে ৫ হাজার ক্যাম্প অফিস চলছে। এক একটি ক্যাম্পে থাকছেন ৪০ জন অফিসার ও কর্মী।