নিজস্ব প্রতিবেদন: সাড়ে চার বছরের মৌনতা ভাঙলেন তিনি। অবশেষে সংসদে মুখ খুললেন অভিনেত্রী থেকে সাংসদ হওয়া সন্ধ্যা রায়। ২০১৪ সালের নির্বাচনে মেদিনীপুর থেকে তৃণমূল সাংসদ হন সন্ধ্যা রায়। তার পর থেকে এই সাড়ে চার বছরে কোনও প্রশ্ন করেননি তিনি। যে লোকসভার তিনি সদস্য তার শেষ অধিবেশনে অবশেষে মুখ খুললেন তিনি। বললেন গ্রামীণ ডাক ব্যবস্থার বেহাল দশা নিয়ে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সন্ধ্যা রায়কে নিয়ে গত কয়েক বছরে কম সমালোচনা হয়নি। সন্ধ্যা রায় সংসদে বসে কী করেন এমন প্রশ্নও উঠে গেছিল। প্রশ্ন উঠেছিল, সংসদে তাঁর হাজিরা নিয়ে। ২০১৭ সালে সন্ধ্যা রায়ের সংসদে গড় উপস্থিতির হার ছিল মেরেকেটে ৩০ শতাংশ। 


এপর্যন্ত সংসদের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪ সাল থেকে সংসদের ১৬টি অধিবেশনে এর আগে কোনও প্রশ্ন করেননি তিনি। কোনও বিতর্কে অংশগ্রহণও করেননি। ২০১৪ সালে বর্তমান সংসদের প্রথম অধিবেশনে ১০০ শতাংশ হাজিরা ছিল তার। তার পর চলতি অধিবেশনে এখনো পর্যন্ত প্রতিদিন সংসদে হাজির থেকেছেন তিনি। বলে রাখি, বর্তমান অধিবেশনই ১৬তম লোকসভার শেষ পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন। 



সোমবার সংসদে গ্রামীণ ডাক ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সন্ধ্যা রায়। তিনি বলেন, ডাকব্যবস্থাকে অবিলম্বে ডিজিটাইজ করা দরকার। গ্রামীণ ডাকব্যবস্থা যেভাবে খোঁড়াচ্ছে তাতে আসলে ক্ষতি হচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতির। 


নিজের এলাকা ছেড়ে তৃণভোজীদের সঙ্গে মাংসাশী 'সচিন'


শুধু সন্ধ্যা রায়ই নন, রাজ্যের একাধিক সাংসদের পারফর্মেন্স নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে গত সাড়ে চার বছরে। প্রশ্নের মুখে, অভিনেত্রী মুনমুন সেনের ভূমিকা নিয়েও। ২০১৪ সালে বাঁকুড়া থেকে তৃণমূলের টিকিটে বাসুদেব আচার্যর মতো ব্যক্তিত্বকে হারিয়ে সাংসদ হন তিনি। তার পর থেকে তাঁকে এলাকায় তেমনভাবে দেখাই যায়নি তাঁকে সাড়ে ৪ বছরে প্রশ্ন করেছেন মাত্র ১টি। 


সূত্রের খবর, চেনা মুখ জিতিয়ে ২০১৪-য় বাজিমাত করলেও তাদের অনেকেই পারফর্মেন্স নিয়ে খুশি নন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে আসন্ন নির্বাচনে তাঁদের অনেকেই টিকিট না-ও পেতে পারেন। সেই আশঙ্কাতেই কি শেষলগ্নে মুখ খুললেন সন্ধ্যা রায়?