সন্দেশখালি সংঘর্ষের দায় নিতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই, দাবি মুকুল-কৈলাসের
`মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে হবে আমার রাজ্যে ল` অ্যান্ড অর্ডার নেই। কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করুক।`
নিজস্ব প্রতিবেদন : বাংলায় অশান্তি পাকানোর জন্য উস্কানি দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি থেকে ফিরে কলকাতায় ফিরে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী উস্কানি দিচ্ছেন বাংলায় গন্ডগোল করার জন্য। সন্দেশখালিতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছে আমাদের কর্মীরা। আরও অনেক কর্মী গ্রাম ছাড়া হয়ে গিয়েছে।" মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করে ঘটনার দায় নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও। এদিকে অশান্তির আশঙ্কায় সন্দেশখালিতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মুকুল রায় অভিযোগ করেন, "শেখ শাহাজাহানের নেতৃত্বেই এই হামলা হয়েছে। বিজেপির ৫ জন কর্মীকে গুলি করে, কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিস কোনও সহযোগিতা করছে না। পুরো ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা করছে।" গতকাল যখন ঘটনা ঘটে তখন দিল্লিতেই ছিলেন মুকুল রায়। তিনি জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, রাজ্যে বিজয় মিছিল নিষিদ্ধ করার প্রসঙ্গে মুকুল রায় প্রশ্ন করেন, "আইপিসি-র কোন ধারায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিচ্ছেন? তা বলতে হবে।" নইলে তাঁর দাবি, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে হবে আমার রাজ্যে ল' অ্যান্ড অর্ডার নেই। কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করুক।"
আরও পড়ুন, 'মুকুল-সায়ন্তনের উস্কানিতেই হামলা, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না,' পাল্টা দাবি 'অভিযুক্ত' শাহাজাহানের
রণক্ষেত্র ন্যাজাটে আজ যাচ্ছে বিজেপির রাজ্য প্রতিনিধি দল। সেই দলে রয়েছেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, সায়ন্তন বসু, লকেট চট্টোপাধ্যায়, জগন্নাথ সরকার, শান্তনু ঠাকুর, অর্জুন সিং, দুলাল বার প্রমুখ। সূত্র বলছে, ২টি দলে ভাগ হয়ে সন্দেশখালিতে ঢুকবে বিজেপি। একটি দল যাবে বাসন্তী হাইরোড ধরে। আরেকটি দল যাবে অন্য দিক দিয়ে। একটি দলের নেতৃত্বে থাকবেন মুকুল রায়। আরেকটি দল যাবে দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে। মুকুল রায় জানিয়েছেন, "সাংসদদের দল এলাকা পরিদর্শন করার পরই পরবর্তী কার্যক্রম ঠিক করা হবে।"