নিজস্ব প্রতিবেদন : তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। কিন্তু তাতে আমল দিচ্ছেন না বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংকে হত্যার চক্রান্ত করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই অভিযোগে আজ আরও একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে FIR দায়েরের দাবি তুললেন মুকুল রায়। শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, এডিজি আইনশৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিং ও বারাকপুর সিপি মনোজ ভার্মার বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ এনেছেন মুকুল রায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


রবিবার ব্যারাকপুরে তৃণমূল - বিজেপি সংঘর্ষের ঘটনায় কাঠগড়ায় পুলিস কমিশনার মনোজ ভার্মার ভূমিকা। সেদিন উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হিমসিম খায় পুলিস। এক সময় পুলিস কমিশনারকে ঘিরে ধরে উত্তেজিত জনতা। জনতার রূদ্ররূপ দেখে পুলিস কমিশনারকে একা রেখেই পালাতে থাকেন হাজির অন্য পুলিস কর্মীরা। কোনও ক্রমে উঠে পালাতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়েও যান মনোজ ভার্মা। উঠে দাঁড়িয়ে এক সহকর্মীর কাছ থেকে বন্দুক নিয়ে শূন্যে গুলি চালাতে দেখা যায় তাঁকে। যে ছবি সামনে আসতেই প্রশ্নের মুখে মনোজ ভার্মার ভূমিকা। এদিন দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে মুকুল রায় অভিযোগ করেন, পুলিস কমিশনার ২ বার গুলি চালিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, সেদিন তিনি কেন পুলিস কমিশনারের পোশাকে ছিলেন না? কেন RAF-এর পোশাকে ঘুরছিলেন? সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিজেপি নেতা। মনোজ ভার্মা একসময় হার্মাদদের সাহায্য করেছেন। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আঁতাত করছেন বলে তোপ দাগেন মুকুল রায়।


শুধু মনোজ ভার্মা নয়, এডিজি আইনশৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিংয়ের ভূমিকা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন মুকুল রায়। মুকুল রায় দাবি করেন, জ্ঞানবন্ত সিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছিল হাইকোর্ট। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই ব্যবস্থা নেয়নি। রিজওয়ানুর রহমানের মৃত্যুর পর বিক্ষোভের একটি ছবি দেখিয়ে মুকুল রায় এদিন দাবি করেন, "এই ছবিটা চিনতে পারছেন? কলকাতায় ধরনা হয়েছে, মমতার পাশে বিধাননগর থেকে এসে বসেছেন জ্ঞানবন্ত সিং।" রবিবার অর্জুন সিংয়ের উপর হামলা একটি পূর্ব পরিকল্পিত ছক বলে দাবি করেন তিনি। জানান, "জ্ঞানবন্ত সিংয়ের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে অভিযোগ করেছি। কাল রাজ্যপাল ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে জানাব।"


আরও পড়ুন, 'আমাকে খুনের ষড়যন্ত্র!' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করছেন অর্জুন সিং


প্রসঙ্গত, পার্টি অফিস দখলকে কেন্দ্র করে রবিবার রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে শ্যামনগর ফিডার রোড। সংঘর্ষের সময়ই ইটের ঘায়ে মাথা ফেটে যায় অর্জুন সিংয়ের। আর তারপরই সমগ্র ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে অশান্তি।