নিজস্ব প্রতিবেদন: লাভপুর হত্যামামলার চার্জশিটে নাম ঢুকল মণিরুল ইসলামের। প্ররোচনার দায়ে চার্জশিটে নাম রয়েছে মুকুল রায়েরও। হাইকোর্টের নির্দেশ নতুন করে মামলার তদন্ত শুরু করে পুলিস। তারপরই নতুন করে চার্জশিট। মনিরুলের নাম চার্জশিটে ঢোকায় খুশি খুন হওয়া তিন ভাইয়ের পরিবার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাইকোর্টের নির্দেশে নতুন করে শুরু হয় তদন্ত।  চার্জশিট জমা পড়েছে। আর তাতেই আরও বিপাকে লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলাম। ২০১০ সালের ৪ঠা জুন, লাভপুরের নবগ্রামে, সালিশি সভার নামে ডেকে নিয়ে গিয়ে, ৩ভাই ধানু, কোটন এবং ওইসুদ্দিন শেখকে পিটিয়ে খুন করা হয়। তত্কালীন ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা, মণিরুল ইসলামের নির্দেশেই তাঁর ছেলেদের হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেন, জেরিনা বিবি।



পরে, তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক হন মণিরুল ইসলাম। সাঁইথিয়ার এক সভায় প্রকাশ্যেই ৩ভাইকে খুনের কথা মনে করিয়ে, রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দেন তিনি। এরপরও পুলিসের চার্জশিটে মণিরুলের নাম ছিল না। নিহতের ভাইরা   মণিরুলের নাম বলেননি। ২০১৪ সালে মণিরুল সহ ২২জনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয় নিম্ন আদালত। ২০১৫ সালে হাইকোর্টে যান নিহতদের ভাই জামাল শেখ।খুনের ঘটনার নতুন তদন্ত দাবি করেন। এবছরের ৪ সেপ্টেম্বর নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তদন্ত শেষে বোলপুর আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিস।


আরও পড়ুন- আরজি কর-এ রক্ত পরীক্ষার জন্য টাকা নেওয়া হতো, তদন্তে উঠে এল সত্য


লাভপুরে তিনভাই খুনের মামলায় অভিযুক্ত মণিরুল ইসলাম। খুনে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা মুকুল রায়। ২০১০ সালে ঘটনার সময় মুকুল রায় তৃণমূল নেতা ছিলেন। সেসময় ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে মণিরুলের তৃণমূল যোগ দেওয়ার কথা চলছিল। নতুন করে হওয়া তদন্তে খুনের পিছনে মুকুল রায়ের প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ সামনে আসে। চার্জশিটে মণিরুলের নাম ঢোকায় খুশি নিহতদের পরিবার। তবে, মুকুল রায়ের জড়িত থাকা বিষয়ে মুখ খুলতে চানননি নিহতের মা।