নিজস্ব প্রতিবেদন: আল্লার দোয়া আর শিবের আশীর্বাদ নিয়েই বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করতে চলেছেন মুকুল রায়। আর তার আগে অটুট রাখলেন নিজের ধর্মনিরপেক্ষ ইমেজ। তৃণমূল বিয়োগের আগে সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিতে মুকুল রায় হাজির ইসলাম ধর্মগুরুর বাড়িতে, পুজো দিলেন শিব মন্দিরেও। রাজনীতিতে পাকাপাকি শত্রু-মিত্র বলে কিছুই হয় না। পলিটিক্সের পার্টিগণিতে মুকুল রায় তাঁর নতুন ইনিংস শুরুর আগে সেই কথাই আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিলেন। একই সঙ্গে পশ্চিমবাংলায় হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতিই যে ভোটে জয়ের আসল মন্ত্র সেটাও প্রতিপদে বুঝিয়ে দিলেন।     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাত পোহালেই মুকুল-তৃণমূল সংসদীয় সম্পর্ক ইতি হবে। নতুন প্রহরেই পদ্মতে মুকুল ফুটবে। নিজে হাতে গড়া তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিচ্ছেদের আগের রাত মুকুল রায়ের কাছে যেন ঈদের 'চাঁদ রাত'। কান্না আর কান্না। ঘনিষ্ঠ মহলে নিজের স্মৃতিচারণায় গলা ধরে আসছে তৃণমূলের একদা চাণক্যের। ঘুম আসছে না। বার বার ঘুরে ফিরে চোখের সামনে জ্বল জ্বল করছে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কাটানো মধুর স্মৃতির কথা। বন্ধু মহলে স্মৃতিমেদুর মুকুল বারে বারে বলছেন, "তৃণমূলের প্রত্যেকটা ইটে আমার রক্ত।" 


তৃণমূলকে বিদায় জানানোর আগে নেত্রীকে চিঠি পাঠানোর পর্ব মিটেছে অনেক আগেই। রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা আর রাজনীতিতে নতুন ইনিংস শুরু করার আগে মুকুল ফিরলেন নিজের ধর্মনিরপেক্ষ অবতারে। ইসলাম ধর্মগুরুর বাড়িতে আশীর্বাদ কুড়িয়ে মুকুল রায় দরবার করলেন শিব এবং হনুমান মন্দিরে। অনেকে আবার টিপ্পুনি কেটে বলছেন, দোষ কাটাচ্ছেন মুকুল রায়। তবে মুকুল রায় এসবে কান দিতে নারাজ। ঘনিষ্ঠ মহলে তাবড় সংগঠক হিসেবে পরিচিত মুকুল রায় বলছেন, "পুরনো সব ভুলে নতুন শুরু করতে হবে।" এখন দেখার আদৌ তা হবে কি না।