একমঞ্চে মমতা-মুকুল, পঞ্চায়েত ভোটের ভবিষ্যদ্বাণীও করলেন বিধায়ক
, সেদিন মুকুল রায় বলেছিলেন যে, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের একটি উপহার পাওয়া বাকি রয়েছে। আর সেই উপহারটি একটি রাজনৈতিক উপহার-ই হবে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নজরে মতুয়া ভোট। নদিয়ায় হারানো আস্থা ফেরাতে ফের মুকুল রায়েই ভরসা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়? আজ নদিয়ায় কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে একমঞ্চে মমতা-মুকুল রায়ের উপস্থিতি সেই প্রশ্নই তুলে দিল। বহুদিন বাদে ফের মমতার মঞ্চে মুকুল রায়। আর বক্তব্য রাখতে উঠেই বললেন, 'পঞ্চায়েত ভোটে ভালো ফল করবে তৃণমূল কংগ্রেস।' প্রসঙ্গত, দলীয় ও প্রশাসনিক দুই বৈঠকেই ডাক পেয়েছেন মুকুল রায়। আর তারপরই উসকে উঠেছে জল্পনা। ফের রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হচ্ছেন মুকুল রায়? পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলে নতুন সমীকরণ?
বহুদিন ধরেই রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় ছিলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক। তবে সম্প্রতি ভাইফোঁটা উপলক্ষে কালীঘাটে 'দিদি'র কাছে ফোঁটা নিতে যান মুকুল রায়। সেদিনই ফের খবরের শিরোনামে উঠে আসেন মুকুল রায়। শুরু হয়ে যায় জল্পনা। উল্লেখ্য, সেদিন মুকুল রায় বলেছিলেন যে, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের একটি উপহার পাওয়া বাকি রয়েছে। আর সেই উপহারটি একটি রাজনৈতিক উপহার-ই হবে। আর তারপরই তুঙ্গে জল্পনা। পঞ্চায়েত ভোটেই কি উপহার দিতে চলেছেন রাজনীতির চাণক্য়?
যদিও এখনও পর্যন্ত বিধানসভার খাতায়-কলমে মুকুল রায় বিজেপি বিধায়ক। কারণ, ২০১৭ সালে দল পরিবর্তনের পর একুশে পদ্মশিবিরের হয়ে ভোটে লড়েছিলেন তিনি। বিজেপির হয়ে জয় হাসিল করে নেন কৃষ্ণনগর উত্তরে। কিন্তু তারপর একুশের জুনেই ফের সপুত্র 'ঘর ওয়াপসি' করেন মুকুল রায়। তৃণমূল ভবনে গিয়ে উত্তরীয় পরেন তিনি। এরপর বহুবার-ই তিনি দাবি করেছেন যে, তৃণমূলে ছিলেন, আছেন, থাকবেন। এদিন আবার কৃষ্ণনগর গভর্মেন্ট কলেজ মাঠের সভা থেকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে কড়া বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
তিনি বলেন, 'আমাদের যে এমএলএ-রা আছেন। আশা করি নিজেদের মধ্যে কেউ ঝগড়াঝাঁটি করবেন না। যে ঝগড়াঝাঁটি করবেন, তাঁকে আমি পার্টিতে স্থান দেব না। আমাদের যাঁরা পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ, পুরসভায় ও গ্রামে আছেন, কে বড় হনু? আমি না মানুষ? মানুষ না থাকলে আমি বিগ জিরো।' এও বলেন যে, 'আমি যাওয়ার আগে নতুন পুরনোদের মিশিয়ে দেব। নিজেদের মধ্যে কোনও ঝগড়াঝাঁটি করবেন না। ইগো থাকলে বাড়িতে বসে যান। ভালো কাজ করলে খুঁজে নেব।' মমতার এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূ্র্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।