সুভাশিস মণ্ডল: রাত হলেই বদলে যাচ্ছে মুম্বই রোডের হাওড়ার উলুবেড়িয়া ও রাজাপুর এলাকা। অতিষ্ঠ এলাকার মানুষজন। ছিনতাইবাজদের দখলে চলে যায় এলাকা। কখনও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে, কখনও মারধর করে মোবাইল, টাকাপয়সা সোনাদানা সহ সবকিছু ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে প্রায়শই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ডেঙ্গি আতঙ্কের মাঝেই কলকাতায় ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বৃদ্ধার


জাতীয় সড়কের কুলগাছিয়া,পীরতলা, বীরশিবপুর, ফকিরপাড়া, উলুবেড়িয়া, মালপাড়া, খলিসানি এলাকায় রাত্রে কোন মোটরসাইকেল আরোহী অথবা কোন চার চাকা গাড়ি  দাঁড়ালেই বিভিন্ন উপায়ে তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করে নেওয়ার প্রবণতা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। গত দিন দুই তিনেকের ঘটে যাওয়া ঘটনা তারই প্রমাণ দেয়। পাশাপাশি বিগত দিনেও এই ধরনের ঘটনা ক্রমাগত ঘটেছে।


দুষ্কৃতীরা মূলত অতি দ্রুত গতিসম্পন্ন মোটরসাইকেল নিয়ে এই কাজগুলি করে। জাতীয় সড়ক ধরে কোন মোটরসাইকেল আরোহী যাওয়ার সময় হঠাৎই তার সামনে দুষ্কৃতীরা মোটরসাইকেল নিয়ে এসে দাঁড়িয়ে যায়। জাতীয় সড়ক ধরে যাওয়া কোন মানুষ বাধ্য হন তখন তার মোটরসাইকেলটি দাঁড় করিয়ে দিতে । তখনই প্রথমে ওই চালকের মোটরসাইকেলের চাবিটি দুষ্কৃতিরা খুলে নেয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই অস্ত্রশস্ত্র দেখিয়ে কখনো বা মারধর ধাক্কাধাক্কি দিয়ে ওই ব্যক্তির কাছে থাকা সমস্ত জিনিসপত্র নিয়ে কিছু দূরে মোটরসাইকেলের চাবিটি ফেলে দিয়ে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয় সেখান থেকে। এদের খপ্পর থেকে রেহাই পায় না লরিচালকরাও।


জাতীয় সড়কের এই ধরনের দুষ্কৃতী রাজে কার্যত আতঙ্কিত অনেকেই। প্রশাসনিক তৎপরতা বা পুলিশি টহলদারী ঠিকমতো না হওয়ার কারণেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে বলেই মনে করছেন অনেকে। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে এই ধরনের ঘটনা বাদ যায়নি স্থানীয় মানুষরায় । এলাকার এক ব্যবসায়ীর সঙ্গেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তিনিও তার অভিজ্ঞতা জানালেন কিভাবে অস্ত্র দিয়ে তার গলায় আঘাত করা হয়েছিল। কোনক্রমে তিনি বেঁচে যান। পাশাপাশি আর এক ব্যক্তি জানান, কোলাঘাট থেকে পাঁচলায় বাড়ি ফেরার পথে রাজাপুরও উলুবেড়িয়া থানা এলাকার মাঝে হঠাৎই দুষ্কৃতীরা মোটরসাইকেল নিয়ে এসে তার মোটরসাইকেলের সামনে দাঁড়িয়ে যায়। তারপর তার মোটরসাইকেলের চাবি খুলে নিয়ে মারধর করে তার থেকে মোবাইল ছিনতাই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। কোনক্রমে তিনিও প্রাণে বেঁচে যান। দুষ্কৃতীরাজে কার্যত আতঙ্কিত জাতীয় সড়ক চলতি মানুষজন। কেননা জাতীয় সড়ক ধরে যেতে গেলে প্রয়োজনে কখনও কখনও দাঁড়াতেই হয় রাস্তার পাশে। এইসব ঘটনা ঘটার পর অবশ্যই প্রশ্ন ওঠে প্রশাসনিক তৎপরতার। পাশাপাশি এও প্রশ্ন ওঠে আদৌ কি নিরাপদ জাতীয় সড়ক!


বাচ্চু মণ্ডল নামে এক বাইক আরোহী বলেন, চোখের সামনে দেখলাম তিনজন ছেলে সাদা অ্যাপাচে বাইকে এসে একজনকে ধাক্কাধাক্কি মারধর করল, বাইকের চাবি কেড়ে নিল। তারপর মোবাইল কেড়ে নিল। অন্য এক পথচারী জানালেন, কয়েকজন এসে আমার গলা টিপে ধরেছিল। মারধরও করল। তিনজন বাইকে চেপে এসেছিল। আরও এক বাইক আরাহী দেখালেন কীভাবে তাঁর হলায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)