Municipality Election 2022: `দেখে চোখে জল এসে যাচ্ছে`, প্রার্থী বদলের দাবিতে কামারহাটির বিক্ষোভ নিয়ে আক্ষেপ মদনের
মদন মিত্র আরও বলেন, স্বামী ও স্ত্রী টিকিট চেয়েছিলেন। দুজনই পেয়ে গিয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: পুরভোটে প্রার্থীতালিকা নিয়ে বিক্ষোভ ছড়াল কামারহাটিতেও। পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের প্রার্থী বদলের দাবিতে রাস্তায় নেমে পড়ল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের কর্মীদের একাংশ। তাঁরা সাফ জানিয়েছেন, প্রার্থী বদল না করলে বড়সড় আন্দোলনে নামবে সংগঠনের সদস্যরা।
গতকালই পুরভোটের প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এনিয়ে একটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হলেও আজ কলকাতা পুরসভার মেয়র জানিয়ে দিয়েছেন, সুব্রত বক্সীর সই করা প্রার্থীতালিকায় সঠিক ও চূড়ান্ত। ফিরহাদের ওই ঘোষণার পরও প্রার্থীতালিকা নিয়ে বিক্ষোভ থামছে না।
তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কর্মীদের দাবি, কামারহাটি পুরসভার(Kamarhati Municipality) ১-৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী পরিবর্তন না করলে আরও বড় আন্দোলন করা হবে। স্তব্ধ করে দেওয়া হবে কামারহাটি। আজ বিকেলে প্রার্থী বদলের দাবিতে কামারহাটি অঞ্চলের অটো, টোটো, বাস, জুটমিল বন্ধ করে দেয় তৃমমূল পরিচালিত আইএনটিটিইউসি। পাশাপাশি, বড়সড় আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন ইউনিয়নের নেতা আলি রাজা।
এনিয়ে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র(Madan Mitra) বলেন, প্রার্থী তালিকায় যদি কোনও ভুল হয় বা বদল করার প্রয়োজন হয় তাহলে দলের সঙ্গে কথা বলা আমার উচিত। এসব কথা বাইরে বলা উচিত নয়। কিন্তু বাইরে বলতে হচ্ছে এই কারণে যে পরিস্থিতি অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আজ দুপুরের পর থেকে ওখানে টোটো, অটো এমনকি জুটমিল পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বহু জায়গায় রাস্তা অবরোধ চলছে। আমি কিছুটা সমাধানের চেষ্টা করেছি। কিন্তু সৌগতদা আমাদের নেতা। গোটা বিষয়টাই উনি জানেন। উনি না থাকায় আমার উপরে চাপ বাড়ছে।
আরও পড়ুন- তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা নিয়ে বিভ্রান্তির পেছনে ভূমিকাই নেই, দাবি প্রশান্ত কিশোরের I-PAC-র
মদন মিত্র আরও বলেন, স্বামী ও স্ত্রী টিকিট চেয়েছিলেন। দুজনই পেয়ে গিয়েছে। দেবর-বৌদির মধ্যে একজন পেয়ে গিয়েছেন। এইসব বিষয়গুলি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে পৌঁছনোর পর একটা একটা করে সেটল হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলটিকে চেনেন। কিন্তু সব জেলার মানুষজনকে তো চেনা সম্ভব নয়। আমি দুটো নাম নিয়ে যাচ্ছে, ও দুটো নাম নিয়ে যাচ্ছে। যে যা পারছে প্রার্থী করিয়ে নিয়ে আসছে। এখন কামারহাটিতে বিক্ষোভ হচ্ছে। দেখে আমার চোখ জল এসে যাচ্ছে। দু-একটা জায়গায় বিক্ষোভ থামাতে গিয়েছিলাম। আমাকে ভদ্রভাবে বলেছে, আপনি চলে যান। না হলেও আপনাকেও অপমান হতে হবে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে। গতকাল রাতে কয়েক হাজার লোকের একটা সমাবেশ হয়েছিল। সেখানে রাত আড়াইটা পর্যন্ত থেকে সমাধান করেছি। আসলে লিস্টটা করার সময় যদি আমাদের সঙ্গে কথা বলে নিত তাহলে একটু বুদ্ধি দিতে পারতাম।