নিজস্ব প্রতিবেদন: পুরাণে দেবী দুর্গার নানা রূপের ব্যাখ্যা পাওয়া যায়৷ কিন্তু পেটকাটি দুর্গার কোনও উল্লেখ পুরাণেও পাওয়া যায় না৷ যদিও মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের গদাইপুরের পেট কাটি দুর্গার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এক ভিন্ন ইতিহাস। পুরাণ এখানে স্থানীয় ইতিহাসের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই জেলার অন্যতম প্রাচীন ও বনেদি বাড়ির পুজোর মধ্যে একটি হল এই পেটকাটি দুর্গার পুজো। কয়েকশো বছরের প্রাচীন এই পুজো আজও একই রীতি মেনেই হয়ে আসছে। প্রাচীন ঐতিহ্য মেনেই আজও একচালার মূর্তি তৈরি হয় ঠাকুর দালানে। তবে এখনও মা পেটকাটির মুখে একটুকরো কাপড় লাগানো থাকে। পায়ে থাকে শিকল।


কিন্তু কেন পেটকাটি দুর্গা?


এ নিয়ে রয়েছে এক কাহিনীও।  কথিত আছে, বহু বছর আগে এক সন্ধ্যায় তৎকালীন সেবায়েতের এক কন্যা লাল শাড়ি পরে সন্ধ্যাপুজো দিতে যায়। তারপর থেকেই মেয়েটিকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। উদ্বিগ্ন সেবায়েত মেয়ের মঙ্গল কামনায় মাকে ডেকে চলেন। কথিত রয়েছে সেদিন রাতেই সেবায়েতকে স্বপ্নাদেশ দেন দেবী। তিনি জানান যে সেবায়েতের মেয়েকে ভক্ষণ করেছেন তিনিই। 


আরও পড়ুন, Durga Puja 2021: ভিন রাজ্যে বাজবে 'বাংলার ঢাক', লক্ষ্মীলাভের আশায় শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতিতে ঢাকিরা


এরপরে তার পেট কেটে যেন মেয়েকে উদ্ধার করেন ঐ সেবায়েত, এমন নির্দেশই দেন। তারপর থেকেই শুরু পেট কাটি মায়ের আরাধনা। ঐতিহ্য মেনে পেট কাটি মায়ের পুজোর সূচনা হয় রথের দিনেই। প্রতিপদ থেকেই পূজিত হন মা। সপ্তমীর সকালে কলা বৌ স্নান থেকে মায়ের ভোগ, সন্ধি পুজো, প্রাচীন প্রথা মেনেই হয় মায়ের আরাধনা। গ্রাম বাংলার পুজোর ঐতিহ্য আর পৌরানিক কাহিনী নিয়ে পেট কাটি মায়ের পুজো যেন এক অদ্ভুত পরিবেশের সৃষ্টি করে। দূর দূরান্ত থেকে ভক্তদের সমাগমে জমজমাট হয়ে ওঠে মায়ের মন্দির। 


তবে এবার এই পুজোতেও করোনা কাঁটা। করোনা আবহে পুজো, ফলে বিধি নিষেধে জোর দিচ্ছেন পুজো কমিটির সদস্যরা। ভক্ত সমাগমে হ্রাস টেনে স্বাস্থ্য বিধি মেনে পুজোর ক্ষেত্রে প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)