জি ২৪ ঘন্টা ডিজিট্যাল ব্যুরো: দোড়গোড়ায় কড়া নাড়ছে দুর্গাপুজো। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত দেশবাসী। মায়ের রূপ হোক বা বঙ্গজননীর শোভা। দুর্গাপুজো এবং শাড়ি। এদের যুগলবন্দির জুড়ি মেলা ভার। অষ্টমীর অঞ্জলি হোক বা দশমীর সিদুঁর খেলা, শাড়ির সঙ্গে বাঙালির শারদীয়ার সম্পর্ক বরাবরই চিরন্তন। ষষ্ঠীতে হালকা সিল্ক, সপ্তমীর বালুচরী থেকে শুরু করে দশমীর গরদ ছাড়া যেন বাংলায় পুজোই আসতে চায় না। এবং সেই সিল্ক যদি হয় মুর্শিদাবাদি, তবে সোনায় সোহাগা। সম্প্রতি দেশের সেরা রেশম সুতো তৈরির জন্য় স্বীকৃতি পেয়েছে এই জেলা।অতিমারির কারণে গত দু'বছর সেভাবে লাভের মুখ দেখতে পারেননি শিল্পীরা। তবে এইবছর অবশেষে মন্দা কাটিয়ে এবার লাভের আশায় শাড়ি শিল্পের কারিগররা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Durga Pujo 2022 : প্রথম পুজো পুরস্কার, মুখ্যমন্ত্রী অথবা গৌরিবাড়ির গৌরী!


কোনওটায় রাধাকৃষ্ণ লীলা, কোনওটায় আবার সীতাহরণ আখ্যান, আবার কোথাও ফুটে উঠেছে শকুন্তলার কাহিনি। ভিন্ন ভিন্ন রংবেরঙের কাজ রীতিমতো নজর কেড়েছে সকলের। গরদ, বালুচরি, জামদানি সহ আরও কত কি! বিশেষত্বের তালিকাটা কিন্তু মোটেও কম নয়। এবছর আবার পুজো উপলক্ষ্যে থাকছে বিশেষ কালেকশনও। জঙ্গিপুরের শান্ত, নিরিবিলি এক গ্রাম, নাম মির্জাপুর। কি ওয়েব সিরিজের সেই মির্জাপুরের কথা মাথায় আসছে তো! তবে এই গ্রামের মানুষজনের হাতে বন্দুক নয় বরং কথা বলে তাঁত বোনার যন্ত্র। যন্ত্রের যুগে আজও হাতে শাড়ি বোনেন এখানকার তাঁতিরা। এক সময় জগত্‍ জোড়া খ্যাতি ছিল এই গ্রামের। তবে  অনলাইন শপিং-এর যুগে অনেকখানিই যেন পিছিয়ে পড়েছে মুর্শিদাবাদ সিল্ক। এবং অন্ধকারেই তলিয়ে যেতে বসেছিল এই একখানি গ্রাম মির্জাপুর। এতদিন পর্যন্ত তবুও কষ্টে শিষ্টে তাঁত বুনেই দিন চালাচ্ছিলেন তাঁরা। এরই মাঝে রেশম সুতোর দামের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি কোপ ফেলেছে মজুরিতেও। তবুও তাঁতিরা চালিয়ে যাচ্ছেন বাপ-ঠাকুরদার ব্যাবসা। বিশ্বাস, সুদিন ফিরবেই। 


আরও পড়ুন: Durga Pujo 2022 : করোনা প্রকোপ শেষে দুর্গাপুজোকে ইউনেসকোর স্বীকৃতি, কুমোরটুলির ভাগ্য খুলল কি?


অতিমারির কারণে ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে গিয়েছিল দ্বিগুণ । কিন্তু এবার পুজোর আগেই বাড়তে শুরু করেছে অর্ডার। স্বভাবতই খুশি গ্রামের মানুষেরা। গ্রামেও শুরু হয়েছে ক্রেতাদের আনাগোনা। অর্ডার সাপ্লাই দিতে ব্যস্ত শিল্পীরা। গরদের অলঙ্কার, শাড়ির উপর পৌরাণিক ছবি, থ্রি-ডি কাজ, তসরের উপর হ্যান্ড প্রিন্ট, মধুবনী প্রিন্ট, নানা রঙের গরদের চাহিদাও এবছর তুঙ্গে। উত্‍সবের অপেক্ষায় মুর্শিদাবাদের "সিল্ক হাব' মির্জাপুর।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)