অনুপ দাস: সমস্ত বাধা পেরিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে পাশ করেছে মেয়ে। শুধু উত্তীর্ণ হয়েছে তাই নয়, ব্লকের মধ্যে প্রথমও হয়েছে। কিন্তু তাতেও খুশি নয় নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ বানপুর সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা জয়া পালের পরিবার। অভাবের সংসারে মেধাবী এই পড়ুয়ার এগিয়ে যাওয়ার কোনও পথ খুঁজে পাচ্ছেন না বাবা-মা। আর্থিক অবস্থার কারণে এগারো ক্লাসেই পড়াশুনা ছেড়ে দিতে চেয়েছিল জয়া। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইচ্ছাশক্তি আর নিজে নিচু ক্লাসের ছেলে মেয়ে পড়িয়ে কোনও রকমে পড়াশোনা চালায় সে। মা সেলাইয়ের কাজ করে পড়ার খরচ জোগাড় করে জোগাতে সাহায্য করে। কিন্তু ৫০০র মধ্যে ৪৭৯ নম্বর পেয়েও খুশি নয় পরিবার সহ জয়া। কারণ WBCS অফিসার হতে চায় সে। সমাজ ও বাবা -মা, বোনকে নিয়ে ছোট সংসারের উন্নতি করতে চায়। কিন্তু উচ্চশিক্ষার খরচ বহন করতে অপারগ বাবা-মা।


বানপুর বাজারে বাবার একচিলতে ছোট  কাপড়ের দোকান আছে। যাতে বিক্রি নেই বলে আজ সেই দোকান বন্ধের মুখে। মা অভাবের কথা বলতে গিয়ে চোখের জল মুছতে মুছতে বললেন, মেয়ের জন্য কিছুই করতে পারিনি। ওই নিজের পড়ার খরচ টিউশন করে জোগাড় করেছে। একচিলতে প্লাস্টার ছাড়া বাড়ি তাতেই কষ্ট করে সংসার চলে।


এগারো ক্লাসে পড়ার সময় পড়া ছেড়ে দেবে ভেবে ছিলো জয়া। বানপুর হাই স্কুলের শিক্ষক ও দিদিমনি ও পাড়ার লোকদের চাপে আবার পড়া শুরু করে। আজ ব্লকের মধ্যে প্রথম হয়েও মনে খুশি নেই, এলাকার বাসিন্দারা অবশ্য বলেছেন তারা সাহায্য করবেন। তবে সরকারি সাহায্য পেলে ওর লক্ষ্যে পৌঁছতে সুবিধে হয় বলেই মত সকলের। 


আরও পড়ুন, Jalpaiguri Govt Engineering College: করোনা আক্রান্ত একাধিক পড়ুয়া, ছুটি ঘোষণা জলপাইগুড়ির ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)