বিশ্বজিৎ মিত্র: সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ভাড়া বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে এক যুবতীকে বার বার ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল (TMC) নেতার বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, জোর করে সাদা কাগজে সই করিয়ে রেজিস্ট্রিও করে নেয় অভিযুক্ত। অভিযুক্ত নেতা পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি। নাম রত্নাকর দে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বছর পঁচিশের ওই মহিলার অভিযোগ, রত্নাকর দে নিজেকে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের আস্থাভাজন ও অতি কাছের লোক বলে নিজেকে পরিচয় দেয়। দারিদ্রতার কারণে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুযোগ নেওয়ার উপদেশ দেয়। তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলে। তিনিও সরকারি প্রকল্পের জন্য এরপর তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর থেকেই তাঁকে কখনও কেতুগ্রাম পুরনো বাজারের কাছে একটি ভাড়া বাড়িতে, কখনও কাটোয়ার লজে কোনও কারণ দেখিয়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে। 


আরও অভিযোগ, এই বিষয়ে কাউকে জানালে তাঁকে ও তাঁর বাবা-মাকে খুনের হুমকিও দেয় অভিযুক্ত। পাশাপাশি, নিজেকে অনুব্রত মন্ডলের কাছের লোক বলে দাবি করে এই বলে শাসাত যে, প্রশাসনের কাছে গিয়েও কোনও লাভ হবে না। এমনকি তাঁকে দিয়ে জোর করে একাধিক সাদা কাগজে, স্ট্যাম্প পেপারেও সই করিয়ে নেয় ওই তৃণমূল নেতা। সেইসঙ্গে অভিযুক্ত স্থানীয় একটি লজে ওই যুবতীকে বউ সাজিয়ে সেই ছবিও তুলে রাখে বলে অভিযোগ। নির্যাতিতা যুবতীর আরও অভিযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রত্নাকর দে ওই সাদা কাগজের সই ব্যবহার করে ভুয়ো 'রেজিস্ট্রি' করে রেখেছে তাঁর সঙ্গে। যাতে তার বিরুদ্ধে কেউ কোনও অভিযোগ করতে না পারে।


এমনকি ওই তৃণমূল নেতার অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচার জন্য কেতুগ্রাম থেকে ওই যুবতী সহ তাঁর বাবা-মা এক মাস আগে পালিয়ে চলে আসেন নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালি থানা এলাকায়। কিন্তু সেখানেও গত ২২ মে সন্ধ্যায় দু’জন অপরিচিত ব্যক্তি এসে কেতুগ্রাম ফিরে যাওয়ার জন্য হুমকি দেয়। অতঃপর এই ঘটনায় হাঁসখালি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা যুবতী। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।


আরও পড়ুন, Anubrata Mandal: CBI-তে আজ ফের হাজিরা দিচ্ছেন অনুব্রত মন্ডল?


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)