সোমা মাইতি: মুর্শিদাবাদের নওদায় নদিয়ার তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলাম সেখের হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ইসরাফিলের ৭ দিন পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। তাকে জেরা করে ওই চাঞ্চল্য হত্যাকাণ্ডের বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছে পুলিস। ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে ইটভাটা ও জমি বিবাদের বিষয় সামনে আসছে। হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করেছে মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার যৌথ পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-সোজা কথায় জিততেই হবে মেসিদের, অন্যথায় কি আর্জেন্টিনার বিদায়?


স্বামীর খুনের ঘটনায় কারা জড়িয়ে থাকতে পারে তাদের একটি তালিকা দিয়েছেন নিহত তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলাম সেখের স্ত্রী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ১০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। কিন্তু কীভাবে ইসরাফিল গ্রেফতার? পুলিস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার নওদায় ওই বোমাবাজির ঘটনার সময়ে মতিরুল ইসলামের সঙ্গে তাঁর যে দেহরক্ষী ছিলেন তার বয়ানের ভিত্তিতে একটি পৃথক এফআইআর নেয় পুলিস। তারপরেই গতকাল রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে ইসরাফিলকে। তার কাছে থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছে পুলিস। আজ তাকে আদালতে তুলে ১০ দিন হেফাজতের আর্জি জানায় পুলিস। তবে আদালত ৭ দিন হেফাজত মঞ্জুর করেছে। 


এদিকে, প্রিজন ভ্যানে উঠে ইসরাফিল সেখ বলেন, এই খুনের সম্পর্কে কিছু জানি না। জমি জায়গার ব্যবসা করি। বুঝতে পারছি না পুলিস কেন গ্রেফতার করেছে।


মতিরুল সেখের খুনের ঘটনায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের। কিন্তু তাহলেও কারা ওই খুনের ঘটনায় জড়িত তা এখন বোঝা যাচ্ছে না। ঘটনার দিন স্থানীয় বিধায়ক তাপস সাহা দাবি করেন মতি ছিল এলাকার জনপ্রিয় নেতা। রাতদিন পরিশ্রম করে। করিমপুর ২ নম্বর ব্লকের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতিও ছিল। আজ ও ছেলেকে দেখতে গিয়েছিল। ফেরার সময় চক্রান্ত করে ওকে মার্ডার করা হল। আগামী কিছু দিনের মধ্যে দেখবেন মিঠুও মার্ডার হচ্ছে। ওর স্ত্রীও প্রধান। অনেকদিন ধরে বলছি মতিরুলকে মার্ডার করা হবে। দলকে বারবার জানিয়েছি। কোনও ব্যবস্থা হয়নি। এরকম চললে এলাকার কেউ তৃণমূল কংগ্রেস করবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। দল কোনওরকম সাহায্য করছে না। আমাদের কথা কে শুনবে! দলের একাংশ টিনা সাহাকে মদত দেয়। আমার সন্দেহ বিজেপি, সিপিএম ও টিনা সাহার দিকে। 


চুপ করে থাকেননি জেলা পরিষদ সদস্য টিনা সাহাও। তাঁর দাবি,  'আমি এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করি। কোন অধিকারে কোনও বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এই মন্তব্য করতে পারেন?  তাপস সাহা চাকরি দেওয়ার নাম করে  টাকা তুলেছিলেন। মতিরুল ইসলাম বিধায়কের কাছে ৫৬ লাখ টাকা পেতেন।  দীর্ঘক্ষণ ধরেই টানাপোড়েন চলছিল। তারপর এই ঘটনা, প্রশাসন তদন্ত করুক। আসল দোষীদের সামনে আনুক'। কে 'আসল দোষী'? তৃণমূল জেলা পরিষদ সদস্যের মন্তব্য,  'সে বিধায়কও হতে পারে' !


উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ছেলের সঙ্গে হোস্টেলে দেখা করে বাড়ি ফিরছিলেন মতিরুল। সেইসময় নওদার শিবতলা এলাকায় তার পথ আটকায় দুস্কৃতীরা। তাকে ঘিরে ধরে গুলি বোমা ছোড়া হয়। বোমার আঘাতে তাঁর দেহ ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। আহত মতিরুলকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে আনার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)