নিজস্ব প্রতিবেদন : নকল পেটিএম টুইটার খুলে প্রতারণা। অন লাইন দুর্নীতির নয়া শিকার নৈহাটির অমিত কুমার। নগদে লেনদেনের ঝক্কি কমাতে সরকারের দাওয়াই, "গো ক্যাশলেস"। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বছর কয়েক ধরেই বাড়ছে রকমারি মোবাইল ওয়ালেটের ব্যবহার। কিন্ত, কতটা নিরাপদ এমন হাতমুঠোয় থাকা ওয়ালেট? নৈহাটির অমিত কুমার দাসের অভিজ্ঞতা খুব সুখকর নয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, রাজ্যে লিটার পিছু ১ টাকা কমল পেট্রোল-ডিজেলের দাম, নবান্নে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর


নৈহাটির অমিত কুমার তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। নগদের বদলে পেটিএমের মতো ডিজিটাল লেনদেনেই স্বচ্ছন্দ তিনি। কিন্তু, সম্প্রতি পেটিএম ওয়ালেটে কিছু সমস্যা তৈরি হয়। এরপরই পেটিএম কোম্পানির টুইটার হ্যান্ডেলে সেকথা জানান তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যে ফোন আসে তাঁর কাছে। জানতে চাওয়া হয় অ্যাকাউন্ট নম্বর, ওটিপি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য।


আরও পড়ুন, 'কলেজ পাড়ার বাড়িটির দিকে শঙ্কা মিশ্রিত সম্ভ্রম নিয়ে তাকিয়ে থাকতাম', ডিলিট গ্রহণ করে স্মৃতিমেদুর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়


অমিত জানিয়েছেন, চোখের পলক ফেলার আগেই টুইটার অ্যাকাউন্টে অমিত কুমারের কার্ড ডিটেইল ও ওটিপি সংক্রান্ত প্রশ্ন চলে আসে। আর অমিতবাবু তথ্য শেয়ার করতেই চটজলদি তাঁর এসবিআই অ্যাকাউন্ট ও পেটিএম থেকে কেটে নেওয়া হয় টাকা। নকল পেটিএম টুইটারের খপ্পরে পড়ে সাড়ে ১৭ হাজার টাকা চোট হয়ে যায় অমিত কুমারের।


আরও পড়ুন, ৩ বিজেপি প্রার্থীকে অপহরণ, পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন ঘিরে ধুন্ধমার সাঁতুড়ি


এরপরই পুলিসের দ্বারস্থ হন অমিত।  নৈহাটি থানার পর বারাকপুর কমিশনারেটের সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু অভিযোগ, তদন্ত সেই তিমিরেই। এই ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, নকল টুইটার অ্যাকাউন্ট খুলে কী করে দিনের পর দিন খুলে আম প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে হ্যাকাররা? কেন নজরে আসছে না সাইবার সেলের?


আরও পড়ুন, রাত হলেই আওয়াজ পাওয়া যেত! বাড়ির মধ্যেই 'সপরিবারে' লুকিয়ে ছিল ৩০-৩৫টি...


পাশাপাশি, এই ঘটনা ফের একবার চোখে আঙুল দিয়ে সাবধান করে দিচ্ছে কার্ড হোল্ডারদের। কোনওভাবেই কখনও কার্ডের কোনও তথ্য অনলাইনে বা অপরিচিত কারোর সঙ্গে শেয়ার করবেন না। বিপদ থেকে রক্ষা পেতে নিজে সাবধান হোন সবার আগে।