নিজস্ব প্রতিবেদন : আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল বম্ব স্কোয়্যাডের। শুক্রবার সকালে বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখে বললেন নৈহাটি পুরসভার ক্ষুব্ধ পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায়। জানালেন, তাঁর কাছেও নিষ্ক্রিয়করণ নিয়ে কোনও খবর ছিল না। তাঁকেও আগাম জানানো হয়নি। এর পাশাপাশি বিস্ফোরণের জেরে মোট ৬৫টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নবান্নে তার রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বি.ডি.ও ব্যারাকপুর-১ শান্তুনু ঘোষ। পুরপ্রধান আশ্বাস দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত সব বাড়ি মেরামত করে দেওয়া হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন সকালে নৈহাটির বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শনে যান পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায়। ঘুরে দেখেন গোটা এলাকা। কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেই। তারপরই বাজি নিষ্ক্রিয়করণ প্রক্রিয়া নিয়ে বম্ব স্কোয়্যাডের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে সরব হন তিনি। পুরপ্রধানকে সামনে পেয়ে তাঁর কাছে ক্ষোভ উগরে দেন এলাকাবাসী। প্রত্যেকের কথাই মন দিয়ে শোনেন তিনি। সামগ্রিক পরিস্থিতির রিপোর্ট প্রশাসনের উচ্চ মহলে জানানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন পুরপ্রধান।


আরও পড়ুন, গঙ্গাপাড়ে যেন 'পরমাণু বিস্ফোরণ'! কেঁপে উঠল নৈহাটি, চুঁচুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা


আরও পড়ুন, বিস্ফোরণ হতেই 'পালায়' পুলিস! 'নিয়ম মানেনি', নৈহাটিকাণ্ডে অভিযোগ প্রাক্তন কর্তাদের


বিস্ফোরণের ফলে যেসব বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলি সব মেরামত করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অশোক চট্টোপাধ্যায়। একইসঙ্গে জানান, যতদিন না বাড়িগুলির মেরামতি সম্পূর্ণ হচ্ছে, ততদিন বাসিন্দাদের অন্য কোনও আবাসনে স্থানান্তরিত করা হবে। সেখানেই তাঁদের থাকার বন্দোবস্ত করা হবে। পুরসভার তরফে খাওয়া-দাওয়ারও ব্যবস্থা করা হবে। একইসঙ্গে আরও বলেন, দুঃস্থ ৮টি পরিবারকে গীতাঞ্জলি প্রকল্পে বাড়ি দেওয়া যায় কিনা, সেই ব্যাপারেও ভাবনাচিন্তা চলছে।


আরও পড়ুন, বিস্ফোরণে বাড়িতে ফাটল ধরে থাকলে ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর


আরও পড়ুন, নৈহাটিতে বিস্ফোরণ নিয়ে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের উপরই দায় চাপালেন মনোজ ভার্মা