জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হারিয়ে যেতে বসেছে প্রাচীন নল সংক্রান্তি উৎসব। এটি আদতে একটি কৃষি উৎসব। তবে এখনও কোথাও কোথাও এই লোকাচার পালিত হয়। বাংলার বেশ কয়েকটি জেলায়, যেমন মেদিনীপুর, নদিয়া, হাওড়া ইত্যাদি অঞ্চলে এটি পালিত হয়। নল সংক্রান্তি পালিত হয় সবং ব্লকের দশগ্রাম অঞ্চলের হরেকৃষ্ণ এলাকার সাউ পরিবার, জানা পরিবার, দাদরা অঞ্চলের চাঁদকুড়ি এলাকার মান্না পরিবার এবং নানকার এলাকার দাস পরিবারে। পৌরাণিক রীতিনীতি মেনেই এই কৃষিউৎসব 'নল সংক্রান্তি' পালিত হয়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Diwali Lamps: এবার দীপাবলিতে ঘরে জ্বালুন আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ, জলপ্রদীপ! মিলছে বাজারেই...


তবে এগুলির মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হল হরেকৃষ্ণ এলাকার সাউ পরিবারেোর পুজো। এক সময় এই পরিবারের সদস্য হরিপদ সাউ ও বিজয়কৃষ্ণ সাউ জাঁকজমকের সঙ্গে গ্রামবাসীদের নিয়ে সন্ধ্যা নামার পর এই নল সংক্রান্তি পালন করতেন। সেই মতো আজও তাঁদের পরিবারের সদস্য-সহ অন্যরা নল সংক্রান্তি পালন করে আসছেন। এবারেও এর কোনও ব্যতিক্রম হয়নি। সোমবার রাতে নল বাঁধা হয়েছে। আর আজ, মঙ্গলবার আশ্বিন সংক্রান্তিতে ভোরবেলায় ধানজমিতে সেই নল পোঁতা হয়েছে। আশ্বিন মাসের শেষ দিন 'ডাক সংক্রান্তি' নামে পরিচিত। 
'ডাক সংক্রান্তি' বাংলার গ্রামীণ হিন্দু চাষিদের পালনীয় একটি লৌকিক কৃষি উৎসব। এই সময় আমন ধানের গর্ভবতী হওয়ার সময়। লোকবিশ্বাস অনুসারে, ধান গাছের শীষ বেরোনোর সময় ধান গাছগুলিকে গর্ভবতী মায়ের মতোই কল্পনা করা হয়। আশ্বিনের সংক্রান্তিতে দুই মেদিনীপুরে কৃষকরা এই কৃষি উৎসব পালন করে থাকেন। মেদিনীপুরে 'ডাক সংক্রান্তি' 'নলবাঁধা সংক্রান্তি' বলেই প্রসিদ্ধ। যা আজ আর তেমন দেখা যায় না। ধান গাছকে স্ত্রীলোক মনে করে গর্ভবতী মায়েদের মতো তাঁকে সাধ খাওয়ানোর প্রথা হল এই ডাক সংক্রান্তি। ধান গাছের সুস্থতা কামনা করে তাকে নানা ওষধি উৎসর্গ করা হয়। সংক্রান্তির দিন খুব ভোরে কৃষক ওই ওষধি বাঁধা নলকাঠি ও এক ঘটি জল নিয়ে নিজের জমির ঈশানকোণে ওই জল ঢেলে ধান গাছের সুস্থতার উদ্দেশ্যে শ্লোক উচ্চারণ করেন। ধানজমি থেকে ওই জল এনে বাড়ির দেবালয়, খামার, বাড়ির চালে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দেওয়া হয়।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)