সন্দীপ ঘোষ চৌধুরী:  আবাসের তালিকায় এবার নাম খোদ পঞ্চায়েত প্রধানের! বিষয়টি প্রকাশ্য়ে আসতেই আবার নাম বাতিলের আবেদন জানালেন তিনি নিজেই। বললেন, 'বিডিও ম্যাডামকে জানিয়েছি, আমি ঘরটা নিতে রাজি নই। আমরা ঘরটা যদি অন্য় কেউ পেয়ে যায়, তাতে খুব ভালো হয়'। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন:  Shaheed Diwas| Nandigram: জমি আন্দোলনে ওর কোনও ভূমিকাই নেই, শহিদ দিবসে শুভেন্দুর 'পরিযায়ী' কটাক্ষের পাল্টা সুফিয়ানের


জানা গিয়েছে, আবাস যোজনার ওই তালিকাটি ২০১৮ সালের। তখন মাটির বাড়িতে থাকতেন কাটোয়ার গঙ্গাটিকুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধান  গোপাল হাজরা। পঞ্চায়েতের প্রধানও ছিলেন না। সরকারি আবাস যোজনায় বাড়ির জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। সেই তালিকাই এখন প্রকাশ করা হয়েছে।


এদিকে বছর দুয়েক আগে মাটির বাড়ি ভেঙে পাকা বাড়ি তৈরি করেছেন গোপাল। হয়ে গিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধানও। তিনি বলেন, 'আমার অনেক দিন  আগে মাটির ঘর ছিল। তখন আবাসের তালিকায় নাম ছিল। সেই নামটা রেখেই প্রধান হয়েছি। এখনও সেই নামটা চলে এসেছে। বিডিও ম্যাডামকে জানিয়েছি, আমি ঘরটা নিতে রাজি নই। আমরা ঘরটা যদি অন্য় কেউ পেয়ে যায়, তাতে খুব ভালো হয়। অনেকেই আমার চাইতে গরীর, তাদের ঘর নেই। আমার থেকে গবীর না হোক, তাদের ঘর নেই। তাদের যেন ঘরটা দেওয়া হয়। আমি  কী করে নিতে পারি, পাকা ঘর যার আছে, সে তো পেতে পারে না। নামটা কাটিয়ে দিয়েছি'।


বিজেপি নেত্রী সীমা ভট্টাচার্য কটাক্ষ,  'পঞ্চায়েত প্রধানের পদটি যদি খারিজ করতেন, তাহলে সাধুবাদ জানাতাম। তিনি তো তা করেনি'। সঙ্গে অভিযোগ, ২০১৮ সালের তালিকায় নাম এসেছে। দিদির জনপ্রতিনিধিরা ভুল নামের তালিকা পাঠিয়েছে'। আর তৃণমূল? দলের বুথ সভাপতি পাপাই সিংহ বলেন,   'এলাকার মানুষ জানেন, ২০১৮ সালে তাঁর বাড়ির প্রয়োজন ছিল তাই আবেদন করেছিলেন। এখন প্রয়োজন নেই। তাই নাম আসার পরেও বাতিলের আবেদন  জানিয়েছেন'।


আরও পড়ুন:  Gangasagar: সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য লঞ্চ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ভেসেল কর্মীদের! কেন?



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)