Anubrata Mandal: লটারি জিতেছিলেন নানুরের নুর আলি, ঘুরপথে সেই টিকিট আসে অনুব্রতর কাছে!
সিবিআই সূত্রে খবর, বোলপুরের রাহুল লটারি থেকে ওই টিকিটি প্রথমে কেনা হয়েছিল। সেটি কিনেছিল লাকি লটারি নামে একটি দোকান। সেখান থেকে খুচরো বিক্রেতা মুন্না সেখ সেই টিকিট কেনে। মুন্না সেখের কাছ থেকে সেই লটারি কেনে নুর আলি
প্রসেনজিত্ মালাকার: সিবিআইয়ের তদন্তে খুলল অনুব্রতর লটারিকাণ্ডের জট। অনুব্রত নন, লটারিতে ১ কোটি টাকা জিতেছিলেন নানুরের এক ব্যক্তি। পরে তার কাছ থেকে সেই টিকিট কিনে নেওয়া হয়। মোট ৮৩ লাখ টাকা খরচ করে ওই টিকিট কিনে নেওয়া হয় বলে সিবিআই সূত্রে খবর। যিনি লটারির টিকিটটি কিনেছিলেন সেই নুর আলি ও যিনি বিক্রি করেছিলেন সেই বাপি গঙ্গোপাধ্যায়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করেতেই বেরিয়ে এসেছে সবকিছু।
আরও পড়ুন- মাটির গভীরে কেঁপে উঠল প্লেট, অন্ধকারে আচমকাই নড়ে উঠল রাস্তাঘাট-ঘরবাড়ি...
লটারিতে অনুব্রত মণ্ডল পেয়েছিলেন ১ কোটি টাকা। কিন্তু সেই লটারি কি আদৌ অনুব্রত কেটেছিলেন নাকি এর পেছনে অন্য গল্প রেয়েছে তা নিয়ে জল্পনা ছিল। সিবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছিল একটি নাম। সেখ নুর আলি। নানুরের বাসিন্দা নুরই পেয়েছিলেন এক কোটি টাকা লটারি। সেই টাকা ঘুর পথে গিয়েছিল অনুব্রতর হাতে। তাকে নোটিস পাঠিয়েছিল সিবিআই। সেই নোটিস পেয়ে বৃহস্পতিবার বোলপুরের সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে এসে হাজির হন নুর।
নুর আলি সেখের বাবা সেখ কটাই জানিয়েছেন, নুর ১ কোটি টাকার লটারি জিতেছিল। কিন্তু তৃণমূলের লোকজন সেই টিকিট তাদের দিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এমনকি বোলপুরের গাঙ্গুলী লটারির মালিকও সেই টিকিট দিয়ে দেওয়ার জন্যে চাপ দেয়। ফলে বহুদিন ভয়েই দিন কাটাতে হয়েছে। ভয় পড়ে অনেকদিন গ্রাম ছেড়ে থাকতেও হয়েছিল। শেষপর্যন্ত টিকিট নিয়ে নেওয়া হয়। গাঙ্গুলী ওই টিকিট নিয়ে নেয়। সেই টিকিট কার হাতে গিয়েছে তা বলতে পারব না। সাত দিন ঘরে ঢুকতে পারিনি ভয়ে।
সিবিআই সূত্রে খবর, নুর আলি ও গাঙ্গুলী লটারি-র মালিক বাপি গঙ্গোপাধ্যায়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়। সিবিআই ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বাপি গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেন, ৮৩ লাখ টাকা দিয়ে ওই টিকিটের লেনদেন করা হয়েছিল। বোলপুরের রাহুল লটারি থেকে ওই টিকিটি প্রথমে কেনা হয়েছিল। সেটি কিনেছিল লাকি লটারি নামে একটি দোকান। সেখান থেকে খুচরো বিক্রেতা মুন্না সেখ সেই টিকিট কেনে। মুন্না সেখের কাছ থেকে সেই লটারি কেনে নুর আলি। এবার সেই টিকিটে ১ কোটি টাকা জেতার পর থেকেই সমস্যার শুরু। ওই টিকিট দিয়ে দেওয়ার জন্য তার উপরে চাপ সৃষ্টি করা হয়। স্থানীয় বাহিরি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ভজন ও অনুব্রত ঘনিষ্ট কাউন্সিলার বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় বাপি গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে যায় লটারি টিকিটটি মেলানোর জন। পরবর্তীতে নুর আলিকে ৮৩ লাখ টাকা দিয়ে সেই টিকিট কিনে নেওয়া হয়। এরপর অনুব্রত মণ্ডল সেই টিকিটটি ভাঙিয়েছিলেন। এক কোটি টাকা পাওয়ার কথা প্রকাশ্যে এসেছিল। নুর আলির বাবার বক্তব্য তাঁকে ৭ লাখ টাকা দিয়েছিল তার ছেলে।