চাকরি পেতে মহাধুমধামে চলছে নারদ মুনির পুজো
হুজুগে বাঙালির কি আর হুজুগের অভাব হয়? এসবই নাকি একটা চাকরির জন্য।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এর নামই কি শর্টকার্ট? নাহলে নারদ কেন? বুঝতে পারলেন না তো? বাঁকুড়ায় এখন মহাধুমধামে চলছে নারদ মুনির পুজো। উদ্দেশ্য কর্মসংস্থান।
ধনদৌলতে লক্ষ্মী। শিক্ষায় সরস্বতী। বাণিজ্যে গণেশ। কারিগরিতে বিশ্বকর্মা। ব্যক্তিগত বা পারিবারিক শ্রীবৃদ্ধির জন্য তো এঁদেরই পুজো করে থাকি আমরা। নারদ এল কোথা থেকে?
আরও পড়ুন: বাংলার ক্ষেত্রে নাম বদলের বিষয়টি ঝুলে কেন, কেন্দ্রকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর!
বাঁকুড়ার পশ্চিম রতনপুর গ্রামে এখন পুজো চলছে নারদেরই। ছোটখাট নয়। রীতিমত বড় আকারে। আলোয় আলোয় সেজেছে গোটা এলাকা। ম্যারাপ বাঁধা হয়েছে। মূর্তি এনে মহা ধুমধামে পুজো হচ্ছে। মেলা বসেছে। জিলিপি, মিষ্টি, চপ ভাজাভুজিও চলছে। চলছে অন্যান্য হরেক পসরার বিকিকিনি।
রও পড়ুন: জঙ্গলমহল থেকে মাওবাদী সন্দেহে গ্রেফতার ৪
হুজুগে বাঙালির কি আর হুজুগের অভাব হয়? এসবই নাকি একটা চাকরির জন্য। নারদের পুজো করলেই নাকি মিলছে চাকরি। আর একথা ছড়িয়ে পড়তেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নারদ পুজোর সংখ্যা।
আরও পড়ুন: নাম না করে অনুব্রতকে ‘কুকুর’ বললেন দিলীপ, পাল্টা আক্রমণে কেষ্টও
এলাকায় নারদ মুনির পুজো শুরু হয়েছিল ছ বছর আগে। এই ছ বছরে পশ্চিম রতনপুরজুড়ে কেবলই নারদ আরাধনা বেড়েছে। নিন্দুকেরা বলছেন এগ্রামে দুর্গাপুজো , কালী পুজোকেও ছাপিয়ে গেছে নারদ পুজো।
কিন্তু চাকরি পেতে নারদ আরাধনাই কেন বেছে নিলেনপশ্চিম রতনপুরের মানুষ? ঢেঁকি চড়ে এলোক ওলোক ঘুরে বেড়ানো। সহজেই লোক থেকে লোকে কথা চালাচালি। আর মুখে কেবলই নারায়ণ নারায়ণ বুলি। জনসংযোগের কাজটাই কি করে থাকেন নারদ? স্বয়ং ভগবানের কাছাকাছি থাকার সুবাদে অনায়াসেই কি মর্ত্যলোকের বেকারত্বের কথা পৌছে দেন স্বর্গলোকের অন্দরে? তাই কি নারদ পুজোর ভাবনা?