নিজস্ব প্রতিবেদন: বাগানবাড়িতে কারখানা তৈরির কথা ছিল। কিন্তু বাধ সেধেছিলেন কেয়ারটেকার দম্পতি। তার জেরেই কি খুন? নরেন্দ্রপুরে বাগানবাড়ি থেকে দম্পতির ট্রলি ব্যাগ ভর্তি খণ্ড খণ্ড দেহ উদ্ধারের ঘটনায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসছে তদন্তকারীদের হাতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



নরেন্দ্রপুরে ১৫ কাঠা জমির ওপর  এই বাগানবাড়ির দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন ওই দম্পতি। পুলিস বাড়ির মালিক দীপঙ্কর দে-এর সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছে, স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে সম্প্রতি কথা হয়েছিল তাঁর। ওই ব্যবসায়ী এই জমিতে তারের জালের কারখানা তৈরি করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।


ট্রলি ব্যাগ থেকে চুঁইয়ে বেরোচ্ছে রক্ত, নরেন্দ্রপুরে বাগানবাড়িতে উদ্ধার দম্পতির টুকরো টুকরো দেহ


পুলিস জানাচ্ছে, বাড়ি থেকে একটি টিভি সরানো হয়েছে, খোয়া গিয়েছে দুটি মোবাইলও। তাছাড়াও বাড়ির প্রধান দরজা অক্ষত থাকলেও, বাড়ির কোণে রান্নাঘরের দরজার তালা ভাঙা ছিল। সেক্ষেত্রে পুলিস মনে করছে, আততায়ীরা পুলিসকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। নৃশংতা দেখে  খুনি পেশাদার বলেই মনে করছে পুলিস।


প্রসঙ্গত,  মঙ্গলবার সকালে তিউড়িয়া এলাকার একটি বাগান বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রদীপ বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রী আলপনার  ট্রলি ভর্তি  দম্পতির টুকরো টুকরো দেহ। গত ২০ বছর ধরে তিউড়িয়া এলাকার ওই বাগানবাড়িতে থাকতেন তাঁরা। দুজনেই বাগানবাড়ির দেখভাল করতেন। রবিবার রাতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেষবারের মতো কথা হয় তাঁদের। ঘটনার নৃশংসতায় আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা।