নিজস্ব প্রতিবেদন : ঝাড়গ্রাম জেলায় বিজেপিতে বড়সড় ভাঙন। একসঙ্গে গোটা একটা ব্লকের প্রায় সব নেতা-ই দল ছাড়লেন! এমন ঘটনা এর আগে রাজ্যে কোথাও হয়েছে কিনা সন্দেহ। এদিন দলের জেলা সম্পাদক সহ সাঁকরাইল এবং রোহিনীর সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ থেকে শুরু করে একাধিক মন্ডল সভাপতি, একাধিক যুব এবং মাদারের বহু নেতৃত্ব দলত্যাগ করেন। সাংবাদিক সম্মেলন করে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন তাঁরা। দলত্যাগী নেতাদের মতে বিজেপি নেতৃত্ব ও সাধারণ কর্মী মিলিয়ে সংখ্যাটা প্রায় ৫০০-র কাছাকাছি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তাঁদের অভিযোগ, বিজেপি যা বলেছিল কার্যক্ষেত্রে তার সম্পূর্ণ উল্টো। যে সমস্ত পঞ্চায়েত তাঁদের দখলে সেখান থেকে টাকা নয়ছয়, স্বজনপোষণ, নারী কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বিজেপি জেলা নেতৃত্বকে বার বার জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। আর সে কারণেই মানুষের কাছে নিজেদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখাতে তাঁরা বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। লোকসভা এবং পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপির যা ঘোষণা ছিল, রাজ্যস্তর এবং কেন্দ্রস্তরে তার কোনওটাই চোখে পড়ছে না বলেও তোপ দেগেছেন দলত্যাগী নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, সবটাই শুধু প্রতিশ্রুতি, কথার কথা ছিল। উল্টে এখন দমন-পীড়নের রাজনীতি চলছে সর্বত্র। তাই তাঁরা একটি ব্লকের সব নেতারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।


একটা গোটা ব্লকের বিজেপি নেতৃত্বের এভাবে দল ছাড়ার ঘোষণায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। বিজেপি জেলা সভাপতি সুখময় সৎপতির কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি পাল্টা দাবি করেন, "বিজেপি দলের উপর থেকে নীচ পর্যন্ত সর্বত্রই দুর্নীতিগ্রস্ত লোকেদের দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রেও সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরা সকলেই দলবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত।"


আরও পড়ুন, বিতর্কিত মন্তব্যের জের! দিলীপকে ডেকে পাঠালেন নাড্ডা