নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল আরজি কর হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ২৬ বছরের এক যুবকের মৃত্যু ঘিরে অশান্ত হয় গোটা হাসপাতাল চত্বর। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কী ঘটেছে? 


গলায় লোহার রড ও একট চেন দুর্ঘটনাবশত ঢুকে যায় প্রদীপ দাস নামে ২৬ বছরের যুবকের গলায়। লোহার রড বের করা সম্ভব হলেও চেনটি অস্ত্রোপচার করে বের করতে হবে এমনটাই জানান হয় স্থানীয় হাসপাতালের তরফে। এরপরই তাঁকে নিয়ে আসা হয় কলকাতার আরজি করে মেডিকেল কলেজে। করোনাকালের নিয়ম অনুসারে কোভিড টেস্ট হলে তা নেগেটিভ আসে। 


আরও পড়ুন, Micro-Containment Zone: ১৬টি জেলায় ২৫১টি! টিকাকরণ ও টেস্টে জোর ওই সব অঞ্চলে


কিন্তু আরজি করে এসে কোভিড টেস্ট করতেই পজিটিভ আসে রিপোর্ট। এর জেরে অসুস্থ পরিস্থিতিতেই ৪ ঘন্টা রেখে দেওয়া হয় প্রদীপকে। এরপর চলে অপারেশন। রোগীকে এরপর রাখা হয় কোভিড ওয়ার্ডে।


এরপর ফের করোনা টেস্ট করানো হলে রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। শুক্রবার মৃত্যু হয় প্রদীপ দাসের। এরপরই চিকিৎসা গাফিলতির অভিযোগ তোলে পরিবার। এমনকী দেহ নিয়েও শুরু হয় বচসা। 


আরজি কর মেডিকেল কলেজে কোভিডের একবার পজিটিভ ও একবার রিপোর্ট নিয়ে দ্বন্দ্ব ওঠে চরমে। হাসপাতালের কাছে শেষ রিপোর্ট পজিটিভ থাকায় দেহ দিতে অস্বীকারও করা হয় বলে মৃতের পরিবারের তরফে জানান হয়েছে। এরপর মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ থেকে নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে জমা দেওয়ার পরই ছাড়া হয় দেহ।