চম্পক দত্ত: সিপিএম জমানার শেষদিকে রাজ্যকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল নেতাই হত্যাকাণ্ডে। ২০১১ সালে লালগড়ের নেতাইয়ে ওই গুলিচালনার ঘটনায় প্রাণ হারান ২ মহিলা-সহ ৯ জন। গুলিবিদ্ধ হন ২৮ জন। সেই মামলায় জামিনে ছাড়া পেলেন সিপিএম নেতা ডালিম পান্ডে ও তপন দে। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় সমর্থকদের তুমুল স্লোগানের মধ্যে মেদিনীপুরে সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে আসেন দুই নেতা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-CBI-এর বদলে ইংল্যান্ডের MI5-এর উপর এবার ভরসা করতে হবে! কড়া তিরস্কার বিচারপতির


নেতাই গণহত্যা মামলায় মোট ৩ সিপিএম নেতার হাইকোর্ট থেকে জামিন হয় গত মঙ্গলবার। ডালিম পান্ডে ও তপন দে ছাড়াও ওই মামলায় জামিন পেয়েছেন সিপিএম নেতা অনুজ পান্ডে। তবে তাঁর কাগজপত্র ঠিকঠাক না থাকায় তিনি আজ ছাড়া পাননি। আজ তাদের জেল থেকে নিতে আসেন বহু সিপিএম সমর্থক।


এক দশকেরও বেশি আগে কী হয়েছিল নেতাইয়ে?


২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি নেতাইয়ে সিপিএম নেতা রথীন দন্ডপাটের বাড়ি থেকে গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ ছিল, বাইরে থেকে কিছু লোক জড়ো হয়েছিল ওই বাড়িতে। সেই বাড়ি ঘিরে ধরতেই বাড়ির ভেতর থেকে ছুটে আসে গুলি। ওই ঘটনায় সিপিএমের তত্কালীন বিনপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক অনুজ পান্ডে সহ ২০ জনেক গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার ২ বছরের মাথায় অনুজ, ডালিম ও তপনকে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করে পুলিস। বস্তুতপক্ষে ওই গুলি চালনার ঘটনাই প্রবল চাপে ফেলে দেয় সিপিএমকে।


বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর সংশোধনাগার থেকে বের হতেই স্লোগানে, ফুলমালায় ডালিম পান্ডে ও তপন দে-কে বরণ করে নেন সিপিএম কর্মীরা। ডালিম পান্ডে বলেন, মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে আমাদের জেলে রেখেছিল। সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হল আমাদের নিতে মানুষ এসেছে। আমাদের পাশে রয়েছেন ওঁরা। দল সবসময় পাশে ছিল। সক্তিয় রাজনীতিতে তে অবশ্যই যাব। ওই মামলায় আরও অনেকে জেলে রয়েছে। তারও ছাড়া পাবে। শুধু সময়ের অপেক্ষা। এই তৃণমূলকে যদি কেউ সরাতে পারে তাহলে লাল ঝান্ডাই পারবে। এই যে চারদিকে দুর্নীতি চলছে তার বিরুদ্ধে বামপন্থীরাই লড়াই করছে। যুব সমাজের একটা বড় অংশ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। 


অন্যদিকে, তপন দে বলেন, কমিউনিস্ট পার্টি করতে গেলে জেল খাটতে হবে। এটাই আমার অভিজ্ঞতা হল। মাওবাদীদের তাড়া খেয়ে যারা গ্রাম ছেড়ে চলে গিয়েছিল তাদের মধ্যে কিছু লোক নেতাইয়ে শিবির করে ছিল। অতর্কিতে তাদের উপরে হামলা করা হয়। গুলি করে নিরীহ গ্রামবাসীদের মারা হয়। গুলি চালানার ঘটনায় ২৮ জন জখম হন। ৯ জন মারা যান। এদের মধ্যে ২ জন মহিলা। আপাতত জামিনে মুক্তি পেয়েছি। পার্টি চাইলে ভোটে লড়ব।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)