নিজস্ব প্রতিবেদন: টিকিয়াপাড়ার অস্ত্র কারখানার তদন্তে নেমে পুলিসের হাতে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।  টিকিয়াপাড়ার গঙ্গারাম বৈরাগী লেনে অস্ত্র  কারখানা করার জন্য ঘরের হদিশ কে দিল?  মাঝের ব্যক্তিটা কে? জানতে এলাকায় চলছে খোঁজখবর।  জেরায় পুলিস আরও জানতে পেরেছে, অর্ডার ডেলিভারি  করার দায়িত্ব থাকত অন্যদের কাঁধে। কোথায় কোথায় অস্ত্র যেত সেই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতেও বিহারে গেল পুলিশ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা যাচ্ছে,  এই কারখানায় বড় অর্ডার নেওয়া হত না। ছোট ছোট অর্ডার নিয়ে অস্ত্র তৈরি করা হত। এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম মহ আনোয়ার,মহ সোহেল ও মহ নিরাজ আনসারি ।  তিন জনকে  হাওড়া আদালতে পেশ করা হয়েছে।  জেরায় জানা গিয়েছে, ধৃত তিনজন বিহারের মুঙ্গেরের বাসিন্দা। টিকিয়াপাড়া এলাকার গঙ্গারাম বৈরাগী লেনে ঘর ভাড়া করে লেদ কারখানা করেছিল। এখানেই গোপনে চলত আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি। এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত অন্য অপরাধী  করা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।



আরও পড়ুন: দিনহাটায় স্কুলে ঢুকে শিক্ষকদের গুলি


ধৃতদের দফায় দফায় চলছে জেরা। সন্তোষজনক উত্তর পাচ্ছেন না তদন্তকারীরা।  প্রসঙ্গত,  গঙ্গারাম বৈরাগি লেনে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পায় পুলিস। তল্লাসিতে চল্লিসটি পিস্তল উদ্ধার হয়। আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির প্রচুর  সরঞ্জামও উদ্ধার করেছে পুলিস। মূলত লেদের কাজের আড়ালেই চলত আগ্নেয়াস্ত্র অস্ত্র তৈরি।


এর আগে টিকিয়াপাড়াতেই একটি অস্ত্র কারখানার খোঁজ পায় পুলিস। সেই সূত্র ধরেই এই কারখানার খোঁজ মেলে। খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতেই ঘটনাস্থলে যান হাওড়ার পুলিস কমিশনার তন্ময় রায়চৌধুরী সহ পদস্থ কর্তারা।  গ্রেফতার করা হয়েছে তিনজনকে। গত সাত বছর ধরে চলছে অস্ত্র কারখানা, অথচ কেউ কিছুই টের পেল না? এমনটাও কী হতে পারে?


আরও পড়ুন: বয়লার ছিটকে এল পাশের বাড়িতে! সাঁইথিয়ায় রাইস মিল বিস্ফোরণে মৃত ১


এবিষয়ে প্রশ্ন করা হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্থানীয়দের দাবি, বাড়ির কাছেই অস্ত্র কারখানা। কিন্তু সবসময়েই বন্ধ থাকত । তাই ভেতরে কী হত, তা বুঝতেই পারেননি স্থানীয় মানুষ।  এমনকি বাইরে থেকে জিনিসপত্র আনা-নেওয়া করতেও দেখা যায়নি কখনও। এই ঘটনায় আর কে কে জড়িত, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।