চিত্তরঞ্জন দাস: দ্বিতীয় বিয়েতে কেন রাজি নন? মেয়েকে শিক্ষা দিতে নাতনিকে বিক্রি করে দিলেন দিদিমা! তাও আবার চিকিৎসা করানোর নামে! বিহার থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করল পুলিস। গ্রেফতার অভিযুক্ত। ঘটনাস্থল, দুর্গাপুর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনাটি ঠিক কী? দুর্গাপুর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নাজিস খান। তাঁর স্ত্রী মুসকানের বাপের বাড়ি বিহার সারন জেলায়। মাস চারেক আগে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি। অভিযোগ, চিকিৎসার করানোর নাম করে মেয়ে ও নাতনিকে বিহারে নিয়ে যান মুসকানের মা। শুধু তাই নয়, বিহারে পৌঁছানোর পর আবার নাতনিকে নিয়ে একাই স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে যান তিনি। মুসকান বাড়িতেই ছিলেন। দীর্ঘক্ষণ ফেরেন ওই মহিলা। তখন সঙ্গে কিন্তু নাতনি ছিল না। কোথায় গেল সে? মেয়ে যখন জানতে চান, তখন বলেন, নাতনিকে বিক্রি করে দিয়েছেন! এমনকী, মুসকানের ফের বিয়ে দেওয়ারও উদ্যোগ নেন অভিযুক্ত। রাজি না হওয়ায় শুরু হয় অত্যাচার।


তারপর? কোনওরকমে বিহার থেকে পালিয়ে দুর্গাপুরে পৌঁছন মুসকান। স্বামী নাজিসকে গোটা ঘটনাটি জানান তিনি। ৭ জুলাই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই দম্পতি। সোমবার বিহার থেকে ওই শিশুকে উদ্ধার করে পুলিস। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত  শাহানা খাতুনকেও। এদিন ধৃতকে ট্রান্সজিট রিমান্ডে আনা হয় দুর্গাপুরে। শাহানাকে ৩ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।


আরও পড়ুন: খুনির জামিন! সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ পুলিস, হাইকোর্টে অনুপমের স্ত্রী


এদিকে কয়েক মাস দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল সদ্যোজাত। কীভাবে? হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগের  ৪ নম্বর বেডে ভর্তি ছিলেন ভাদু সিং নামে এক মহিলা। যেদিন ভর্তি হয়েছিলেন, সেদিন রাতেই একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি। পরের দিন দুপুরে শিশুটিকে বিছানায় রেখে বাথরুমে গিয়েছিলেন ভাদু। ফিরে এসে দেখেন, শিশুটি নেই!  সরকারি হাসপাতাল থেকে সদ্যোজাত সন্তানকে চুরি অভিযোগ করেন ভাদু। কে চুরি করল? ওই মহিলার দাবি, যেদিন ভর্তি হন, সেদিন এক মহিলা তাঁকে হুইল চেয়ারে চাপিয়ে বেড পর্যন্ত পৌঁছে দিত চেয়েছিলেন। তিনিই শিশুটিকে চুরি করেছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায়। অভিযোগ দায়ের করা হয় দুর্গাপুর টাউনশিপ থানায়।


এর আগেও, দুর্গাপুর মহকুমার হাসপাতাল থেকে সদ্যোজাত উধাও হয়ে গিয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল, পোলিও টিকা দেওয়ার নাম করে নার্সরাই নাকি সদ্যোজাতকে নিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর আর খোঁজ মেলেনি শিশুটির! এরপর হাসপাতালে করিডোরে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে যায় পুলিস, তখব দেখা যায়, বেশিরভাগ ক্যামেরাই অকেজো।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)