Newborn Body Recovered in Shibpur: বহুতলের নীচে পড়ে সদ্যোজাতর দেহ, সন্দেহ গিয়ে পড়ল চারতলার বাসিন্দা মা-মেয়ের উপরে
ট্রেনের কামরায় যখন সাফাইয়ের কাজ করছিলেন রেলকর্মীরা, তখনই সিটের নিচে সদ্যোজাত কন্যাসন্তানকে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। খবর দেওয়া হয় আরপিএফ ও রেলের চাইল্ড লাইনে
দেবব্রত ঘোষ: সদ্যোজাত এক শিশুকন্য়ার দেহ উদ্ধারকে ঘিরে তোলপাড় হাওড়ার শিবপুরের কাউস ঘাট রোড এলাকা। আসপাশের লোকজনরে অভিযোগ, উপর থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে ওই সদ্যোজাতকে। বাড়ির নীচে জোর কিছু পড়ার শব্দ পেয়ে ছুটে এসে তারা দেখেন বাড়ির নীচে পড়ে রয়েছে ওই মৃত শিশু। পুলিস মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনার জেরে অনেক এখন সন্দেহ করছেন ওই বহুতলে থাকা এক মহিলা ও তার মেয়ের উপরে। ওই মহিলা ও তার মাকে পুলিস আটক করেছে বলে জানা যাচ্ছে। অভিযোগ উঠছে, শিশুটির মা ও তা দিদিমা-ই ওই শিশুটিকে উপর থেকে ফেলে দিয়েছে। কন্যা সন্তান হওয়ার জন্য়ই শিশুটিকে ফেলে দেওয়া হয়েছে নাকি পেছনে অন্য কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
আরও পড়ুন-Howrah: অবাঞ্ছিত কন্যা সন্তান? হাওড়ায় লোকাল ট্রেন থেকে উদ্ধার সদ্যোজাত
বৃহস্পতিবার দুপুরে ১১ নম্বর কাউস ঘাট রোডের ওই বহুতলের নীচে থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এলাকারই এক মহিলা বলেন, শব্দ শুনে মনে করেছিলাম জলের কোনও জার পড়ে গিয়েছে। কাছে গিয়ে দেখলাম একটা বাচ্চা। এদিকে, পুলিস সূত্রে খবর, ওই মহিলার সঙ্গে এক যুবকের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্ক থেকেই সম্ভবত ওই শিশুর জন্ম। জেরার মুখে ওই মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয় একটি হাসপাতালে তাঁর চিকিত্সা চলছে। ময়না তদন্তের পাশাপাশি শিশুটির ভিসেরা পরীক্ষাও করা হবে।
উল্লেখ্য, মৃত্যু না হলেও দুর্গাপুরে এক সরকারি হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে যায় এক সদ্যোজাত। এনিয়ে তোলপাড় হয় হাসপাতাল। গত ২০ জুলাই দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি এক প্রসুতি বাথরুম থেকে ফিরে এসে দেখেন বিছানায় নেই তার সদ্যোজাত শিশু। ওই মহিলার দাবি, সোমবার যখন ভর্তি হন তখন আগবাড়িয়ে তাঁকে হুইল চেয়ারে চাপিয়ে বেডে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন এক মহিলা। তিনিই সম্ভবত শিশুটিকে চুরি করেছেন। তবে শিশু চুরির জন্য মহিলার পরিবারকেই দায়ি করেন হাসপাতালের সুপার ডা ধীমান মন্ডল। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করে পুলিস।
গত ৮ জুলাই হাওড়া স্টেশনে বর্ধমান-হাওড়া লোকাল ট্রেনের সিটের নীচে থেকে উদ্ধার হয় এক সদ্যোজাত। এদিন দুপুরে বর্ধমান থেকে হাওড়ায় এসে পৌঁছয়। এরপর ট্রেনটি নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়ার বামুনগাছি কারশেডে। ট্রেনের কামরায় যখন সাফাইয়ের কাজ করছিলেন রেলকর্মীরা, তখনই সিটের নিচে সদ্যোজাত কন্যাসন্তানকে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। খবর দেওয়া হয় আরপিএফ ও রেলের চাইল্ড লাইনে।