নিজস্ব প্রতিবেদন: ফাটাকাটা থানায় ঢুকে ‘দাদাগিরি’র জের। আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল নিখিল নির্মলকে। তাঁকে কম গুরুত্বপূর্ণ পদে সরিয়ে দেওয়া হল।  তাঁকে আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে নিয়োগ করা হল বলে খবর। নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন পাওয়ার পরই নবান্ন থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

থানার ভিতরেই যুবককে আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক নিখিল নির্মল ও তাঁর স্ত্রীর মারধরের জের। এবার সরিয়ে দেওয়া হতে পারে ফালাকাটা থানার আইসি সৌম্যজিত্ রায়কেও। ঘটনার সময় তিনি থানায় কর্তব্যরত ছিলেন। তাঁর সামনেই ঘটে গোটা ঘটনা। সূত্রের খবর, সৌম্যজিত্ রায়কে কোচবিহার থানায় পাঠানো হবে। কোচবিহারের আইসি সমীর পালকে আনা হবে ফালাকাটা থানার আইসি হিসাবে।


নবান্ন থেকে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক নিখিল নির্মলের বিরুদ্ধে হেফাজতে থাকাকালীন বন্দিকে অনধিকার নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করা হতে চলেছে। নবান্নের শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তারা জানিয়েছেন, থানায় যাওয়ারই কথা নয় নিখিল নির্মলের। সেখানে গিয়েই আইন ভেঙেছেন তিনি। গ্রেফতার হওয়া যুবককে মারধর তো আরও গর্হিত। 


আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক পদ থেকে সরছেন ‘সিঙ্ঘম’ নিখিল!


প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে ফালাকাটা থানায় ঢুকে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করেন  আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক নিখিল নির্মল ও তাঁর  স্ত্রী নন্দিনী কৃষ্ণাণ। ওই যুবক একটি ফেসবুক গ্রুপে জেলাশাসকের স্ত্রীকে যোগ করে অশ্লীল কথাবার্তা বলেছিল বলে অভিযোগ।  ফালাকাটা থানার আইসির উপস্থিতিতেই এই ঘটনা ঘটে। গোটা ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরই বিতর্কের ঝড় ওঠে সর্বত্র। প্রশ্ন ওঠে, আইনের একজন রক্ষক হয়ে কীভাবে নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারেন জেলাশাসক? আইসির সামনে কীভাবে এই ঘটনা ঘটে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।


সম্প্রতি একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, দেশের সেরা ১০ আমলার মধ্যে নাম ছিল নিখিল নির্মলের। আইএএস অ্যাসোসিয়েশনের সেই খবরটি টুইটও করেছিল। সম্প্রতি সেই ঘটনার পর সেই টুইটও সরিয়ে দেওয়া হয়।


বউয়ের কাছে হিরো সাজতে গিয়ে জেলে যেতে হতে পারে আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসককে


কেরলের কোচির বাসিন্দা নিখিল নির্মল। ২০০৯ সালের ইউপিএসসি পরীক্ষায় ৩৭২ তম স্থান অধিকার করেছিলেন ৩২ বছরের নিখিল নির্মল। তার আগে পাবলিক পলিসিতে স্নাতকোত্তর করেছিলেন তিনি। রয়েছে আইনের স্নাতক ডিগ্রিও। গত বছরই আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসকের দায়িত্ব পান তিনি। তার আগে অবিভক্ত আলিপুরদুয়ার, উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসক পদ সামলেছেন। সামলেছেন বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসকের দায়িত্বও।