বিশ্বজিত্ মিত্র: কর্তব্যরত চিকিত্সকের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ। রোগীর পরিবারের দাবি, মত্ত চিকিত্সক রোগীর হাতের ব্যান্ডেজ খুলে দেওয়াতেই রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে যায়। সেই রক্তক্ষরণ আর থামানো যায়নি। মৃত্যু হল ১৯ বছরের এক তরুণের। ওই ঘটনায় তোলপাড় কল্যাণী জেএনএম হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার সন্ধেয় কল্য়াণী পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নয়ন গোয়ালা(১৯) বাড়ির অক্যুরিয়াম সাফ করছিল। আচমকাই সেটি তার গায়ে পড়ে যায়। কাচ ভেঙে কেটে যায় নয়নের হাতের শিরা। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে কল্যাণীর জেএমএম হাসপাতালে নিয়ে আসে পরিবারের লোকজন।


পরিবারের লোকজনের দাবি, এমার্জেন্সিতে প্রাথামিক চিকিত্সা করে তার হাতে ব্যান্ডেজ বেঁধে দেওয়া হয়। তার পরেই নয়নের অবস্থার অবনতি হচ্ছিল দেখে তাকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি হচ্ছিল। এমন সময় এক চিকিত্সক এসে বলেন, 'আমি সব ঠিক করে দেব, আমি ভগবান।' ওঁর মুখ থেকে মদের গন্ধ বের হচ্ছিল। তিনি এসে নয়নের হাতের ব্যান্ডেজ খুলে দেন। তাতেই প্রবল রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে যায়। সেই রক্তক্ষরণ আর থামানো যায়নি। সঙ্গে সঙ্গে তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা। ভোরের দিকে তার মৃত্যু হয়।


ওই ঘটনায় হাসপাতালের তরফে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বলা হয়েছে ওই চিকিত্সকে যদি মত্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এনিয়ে কল্যাণী কলেজ অফ্ মেডিসিন এন্ড জেএনএম হাসপাতাল-এর প্রিন্সিপ্যাল অধ্যাপক সুবিকাশ বিশ্বাস বলেন, পেশেন্টকে প্লাস্টিক সার্জারির জন্য রেফার করা হয়েছিল। তখন একজন পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনি ড্রেসিংটা খোলে। ব্লিডিং বন্ধ করার চেষ্টা করে। কিন্তু তা করতে তা ব্যর্থ হয়। যেহেতু রোগীর বড় ধমনী কেটে যায়। অর্থাত্ সে বাড়ি থেকেই খারাপ অবস্থায় এসেছিল। এখানে এসে তার অবস্থার আরও অবণতি হয়। তাকে আইসিইউতেও নেওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। ওই চিকিসক মত্ত ছিল বলে শুনেছি। যদি তা প্রমাণ হয় তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও পড়ুন-Malda: হাতে ৯ এমএম পিস্তল-পেট্রল বোমা, সোশ্যাল মিডিয়ায় হুমকি দিয়ে গ্রেফতার যুবক


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)