Nadia: চন্দ্রযান-৩! কোভিডের সময়েও রাতের পর রাত জেগে খেটেছেন...
Nadia Boy Associated with Chandrayaan: `ইসরো`য় `ল্যান্ডার টেকনোলজি ডেভেলপমেন্টে`র উপর কাজ করেছেন নদিয়ার রানাঘাটের মেধাবী ছাত্র নির্নিমেষ দে। চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের তিনিও এক অংশীদার। গৌরবান্বিত তাঁর এলাকা, তাঁর পাড়া, তাঁর পরিবার।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের শাখা-প্রশাখা যে দেশ জুড়ে নানা জায়গায় ছড়িয়ে আছে, ক্রমশ তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। যেমন, সম্প্রতি জানা গেল নদিয়ার নির্মিমেষ দে-ও এই সাফল্যের অংশ। চন্দ্রমিশনের সাফল্যের অংশীদার হতে পেরে গর্বিত নদিয়ার রানাঘাটের এই মেধাবী ছাত্র নির্নিমেষ। বয়স মাত্র ২৩। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তনী সল্টলেকের এক আন্তর্জাতিক টেক কনসাল্টেন্ট কোম্পানিতে কর্মরত।
আরও পড়ুন: Malbazar: বিপর্যয়! রাতভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন বহু এলাকা, নদীতে নেমে যায় ট্রাক্টর, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রাক...
স্নাতক পড়াকালীন 'ইসরো'র চন্দ্রযান-৩ মিশনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় 'ল্যান্ডার টেকনোলজি ডেভেলপমেন্টে'র উপর কাজ করেছেন নির্নিমেষ। কোভিডকালে সেই প্রজেক্টের জন্য রাতের পর রাত জেগে খেটেছেন তিনি। অবশেষে দেশের এত বড় সাফল্যের অংশীদার হতে পেরে গর্বিত নদিয়ার রানাঘাটের মেধাবী ছাত্র নির্নিমেষ দে। বয়স মাত্র ২৩। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তনী সল্টলেকের একটি আন্তর্জাতিক টেক কনসাল্টেন্ট কোম্পানিতে বর্তমানে কর্মরত।
২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ মিশনের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ ছিল চন্দ্রপৃষ্ঠে ল্যান্ডিংয়ের সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া। সেই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়েই ২০২০ সালে চন্দ্রযান-৩ অভিযানের যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করে ইসরো। সে বছরেরই এপ্রিলে ল্যান্ডার টেকনোলজি ডেভেলপমেন্টের আইডিয়া তৈরির জন্য ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার রেসপন্ড প্রজেক্টে অংশ নেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও অধ্যাপকের ৭ জনের একটি দল। সেই দলেই ছিলেন মেকানিক্যাল বিভাগের নির্নিমেষও।
জানা গিয়েছে, অবতরণের আগে চন্দ্রযান থেকে চন্দ্রপৃষ্ঠের প্রতি মুহূর্তের ইমেজ সংগ্রহ করার প্রোটোটাইপ কাজের দায়িত্ব ছিল যাদবপুরের ইলেকট্রনিক্স বিভাগের উপর। প্রতি ৬ মাস পর এই বিষয়ে ইসরোর কাছে বিশ্ববিদ্যালয়কে রিপোর্ট জমা দিতে হয়েছে। অবশেষে ২০২১ সালের মার্চ মাসে এই প্রজেক্টকে প্রোটোটাইপ সিমিউলেটিভ ভিডিয়ো হিসেবে ইসরোয় পেশ করা হয়।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: রেললাইনের উপর দিয়ে বইছে জল, প্লাবিত জাতীয় সড়ক, জলে ডুবেছে হাসপাতালও...
প্রাথমিক ভাবে নির্নিমেষের এই কৃতিত্বের কথা জানতেন না তাঁর পরিবারও। রবিবার রানাঘাটের কামারপাড়ায় তাঁর বাড়ির সদস্যরা বিষয়টি বিশদে জানতে পারেন। তাঁর বাবা অবসরপ্রাপ্ত আধা-সরকারি কর্মী নির্মলকুমার দে। মা টিঙ্কু দে গৃহবধূ। তাঁরা উভয়েই ছেলের কৃতিত্বে গর্বিত।