ওয়েব ডেস্ক: কালিম্পং থানায় গ্রেনেড হামলায় দুষ্কৃতীদের চিহ্ণিত করার চেষ্টা করছে পুলিস। প্রাথমিকভাবে দুই ব্যক্তিকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে। নাইট্রোগ্লিসারিন বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয় বলে ফরেনসিক পরীক্ষায় জানা গেছে। হামলায় নেপাল-যোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গ্রেনেড হামলার পর কড়া নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে কালিম্পং থানা লাগোয়া এলাকা। জারি ১৪৪ ধারা। থানার সামনে দিতে যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।


শনিবার রাতে কালিম্পং থানার কাছে সিঁড়ি দিয়ে নীচের রাস্তা থেকে ওপরে উঠে আসে দুষ্কৃতীরা। থানা লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় গ্রেনেড। তবে, গ্রেনেডটি থানার ভিতরে পড়েনি। তারের জালে সেটি আটকে গিয়ে বাইরেই ফেটে যায়। নিহত হন এক সিভিক ভলান্টিয়ার।


সম্প্রতি, পানিট্যাঙ্কি থেকে নেপালের মাওবাদীদের সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। কালিম্পংয়ের গ্রেনেড হামলায় নেপাল- যোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। দুষ্কৃতীদের খোঁজে চলছে তল্লাসি। সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে হামলাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিস।


প্রাথমিকভাবে দুই ব্যক্তিকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে। তাঁদের সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তদন্তে জানা গেছে, কালিম্পং থানায় গ্রেনেড হামলায় নাইট্রোগ্লিসারিন ব্যবহার করা হয়। ৩০ থেকে ৪০ ফুট দূরে ছিটকে পড়ে স্প্লিন্টার হিসাবে ব্যবহৃত পাথর ও লোহার টুকরো।


শুক্রবার রাতে দার্জিলিঙের চকবাজারে আইইডি বিস্ফোরণ সম্পর্কেও উঠে এসেছে নানা তথ্য। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যে আইইডি বিস্ফোরণ হয় তা জিলেটিন দিয়ে তৈরি। ছিল না অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। রিমোট সেন্সিং ডিটোনেটরের সাহায্যে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। স্প্লিন্টার হিসাবে ব্যবহৃত হয় লোহা, অ্যালুমিনিয়ামের পাত এবং বল বেয়ারিং।


সোমবার গ্রেনেড হামলায় নিহত সিভিক ভলান্টিয়ার রাকেশ রাওয়াতের দেহ কালিম্পং থানায় আনা হয়। মোর্চা সমর্থকরা থানা থেকে কিছু দূরে প্রায় আড়াই ঘণ্টা জমায়েত করেন। তবে, থানার সামনে দিয়ে তাঁদের মিছিলের অনুমতি দেয়নি পুলিস।