Moynaguri: আলো-পাখা বন্ধ, বিদ্যুত্ দফতরে এসে অভিনব প্রতিবাদ এলাকার মানুষজনের
Moynaguri: শনিবার সন্ধেয় ময়নাগুড়ির খাগড়াবাড়ি এলাকা থেকে কয়েকশো লোক এসে হাজির হন বিদ্যুত্ দফতরের অফিসে। তাঁদের দাবি, এমনিতেই এলাকায় বিদ্যুত্ যায় আসে। দিনের বহু বার লোডশেডিং। তার পরে দু`দিন বিদ্যুত্ নেই। কোনও কাজ হচ্ছে না। ছেলেমেয়েদের পড়শোনা বন্ধ
প্রদ্যুত দাস: এলাকায় বিদ্যুত্ নেই। প্রতিবাদে বিদ্যুত্ দফতর ঘোরও করলেন এলাকার মানুষজন। শুধু তাই নয়, অভিনব প্রতিবাদে নেমে পড়লেন তাঁরা। বাড়ির ছেলেপুলেদের এসে বিদ্যুত্ দফতরের অফিসের বারান্দায় বসিয়ে দেন । সেখানে বসেই পড়াশোনা করল স্কুল পড়ুয়ারা। জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির ঘটনা।
আরও পড়ুন-ভাত দিতে দেরি করেছিল মা, পেছন থেকে মাথায় কুড়ুল বসিয়ে দিল ছেলে
শনিবার সন্ধেয় ময়নাগুড়ির খাগড়াবাড়ি এলাকা থেকে কয়েকশো লোক এসে হাজির হন বিদ্যুত্ দফতরের অফিসে। তাঁদের দাবি, এমনিতেই এলাকায় বিদ্যুত্ যায় আসে। দিনের বহু বার লোডশেডিং। তার পরে দু'দিন বিদ্যুত্ নেই। কোনও কাজ হচ্ছে না। ছেলেমেয়েদের পড়শোনা বন্ধ। এনিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন গ্রামবাসী। শনিবার তারা বিদ্যুত্ দফতরের অফিসে চলে আসেন তারা, সঙ্গে বাড়ির পড়ুয়ারা। তারা এসে অফিসের বারান্দায় বই খুলs পড়তে বসে যায়।
দক্ষিণ খাগড়াবাড়ি এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ সরকার, শংকর হরিজন বলেন , আমাদের এলাকায় মাসে ১৫ দিন লাইন থাকে না। ময়নাগুড়ি বিদ্যুৎ দফতরে ফোন করা হলে তারা ফোন তোলে না। তারা বলে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নম্বর জানি না। এদিকে বিদ্যুৎ দফতরে এলে খারাপ ব্যবহার করা হয়। ছাত্ররা কী করবে? কিভাবে পড়াশোনা করবে বুঝে উঠতে পারছি না। সে কারণে ছাত্ররা এসে বিদ্যুৎ দফতরের বারান্দাতে পড়াশুনা শুরু করেছে। আমাদের একটাই দাবি সঠিকভাবে আমাদের পরিষেবা দেয়া হোক।
অন্যদিকে, ময়নাগুড়ি বিদ্যুৎ দফতরের স্টেশন ম্যানেজার বিপুল ওঁরাও মোবাইলে জানান, এখনও পর্যন্ত লিখিত কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। যেহেতু গ্রামবাসীরা এসেছে সে কারণে ওই এলাকায় গাড়ি পাঠানো হচ্ছে।
এলাকার এক ব্যক্তির দাবি, পিলারে ৪টে তার থাকার কথা। বহুদিন মাত্র ২টো তার ঝুলছে। সকাল থেকে লাইন নেই। ঘরে ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করতে পারছে না। বাড়িতে বিদ্যুত্ নেই তাই এখানে এনেছি। বিদ্যুত্ দফতরের বারান্দায় বসে পড়াশোন করুক। অফিস বলছে আজ যাব, কাল যাব। এখন আবার বলছে হেড অফিসে ফোন করো। এরা আবার খারাপ ব্যবহার করে। রোজকার এই অবস্থা। কখনও কারেন্ট নেই তো কখন ভোল্টেজ নেই।