নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনার জেরে দেশে চলছে লকডাউন। আর লকডাউনের জেরে বন্ধ সমস্ত বিয়ের অনুষ্ঠান। ফলে বরের টোপরেরও বিক্রি নেই। এই অবস্থায় মাথায় হাত উত্তর ২৪ পরগনার টোপর শিল্পীদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা চিত্ত বৈরাগী। ১৯৬২ সালে বাংলাদেশ থেকে এসে ঠাকুরের চাঁদমালা তৈরি করা শুরু করেন। তারপর আস্তে আস্তে বিয়ের জন্য বরের টোপর বানানোও শুরু করেন। ধীরে ধীরে পসার জমে টোপরের। চিত্ত বৈরাগীর মৃত্যুর পর ছোট ছেলে ঝুলন বৈরাগী বাবার ব্যবসার হাল ধরেন। চিত্ত বৈরাগীর থেকে কাজ শিখে এখন অশোকনগরের প্রায় ৪০০টি পরিবার কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত।


শুধু উত্তর ২৪ পরগনা বা কলকাতা নয়। শিলিগুড়ি, বেঙ্গালুরু থেকেও টোপরের অর্ডার আসে। সেখানেও যায় অশোকনগরের টোপর। কিন্তু এখন লকডাউনে সব বন্ধ। কেউ আর কোনও অর্ডার দিচ্ছে না। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফলে লকডাউনে বন্ধ বিয়ে। আর বিয়ে বন্ধ থাকায় টোপরের অর্ডারও নেই।


টোপর শিল্পীদের কথায়, "বিক্রিবাটা না হওয়ায় ঘরে অনেক স্টক জমে গিয়েছে। বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ় মাসে যে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়, এবার লকডাউনের ফলে তা হচ্ছে না। তাই কেউ কোনও অর্ডারও দিচ্ছে না, কোনও বিক্রিও নেই। এদিকে টোপর তৈরি করতে গিয়ে ঘরে জমানো টাকাও শেষ হয়ে গিয়েছে।" এই পরিস্থিতিতে সরকারের কাছেই সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন টোপর শিল্পীরা।


আরও পড়ুন, নববর্ষের চেনা ছবি উধাও কালীঘাটে, মন্দিরের গেটে টাঙানো কালীর ছবিতেই প্রণাম ভক্তদের