নিজস্ব প্রতিবেদন: এনআরসি নিয়ে দেশজোড়া বিতর্ক চললেও মোদী - হাসিনা বৈঠকের পর প্রকাশিত বিবৃতিতে তার উল্লেখ মিলল না কোথাও। উলটে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করতে প্রতিশ্রুতি দিল ভারত। রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠাতে ২ দেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলেও উল্লেখ রয়েছে বিবৃতিতে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার দুপুরে দিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে বৈঠকে বসেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও প্রধানমন্ত্রী মোদী। বৈঠকে NRC নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জল্পনা ছিল চরমে। অসমের NRC-তে যাদের বিদেশি নাগরিক হিসাবে চিহ্নিত  হয়েছেন তাদের ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে এই বৈঠকে তার ইঙ্গিত মিলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশ থেকে ভারতে কেউ অনুপ্রবেশ করেনি বলে আগেই দায় ঝেড়েছে ঢাকা। 


 



সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে ২ রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে NRC নিয়ে কথা হয়েছে। কিন্তু যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন বা যৌথ বিবৃতিতে তার কোনও উল্লেখ মেলেনি। ফলে আলোচনা ইতিবাচক দিকে এগোয়নি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 


যদিও শিল্প, শিক্ষা, শক্তি-সহ একাধিক ক্ষেত্রে হাতে হাত রেখে কাজ করতে রাজি হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশ। তিস্তার জলবণ্টন চুক্তি নিয়েও মোদীর কাছ থেকে আশ্বাস আদায় করে নিয়েছেন হাসিনা। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব সমস্ত পক্ষের সঙ্গে কথা বলে এই চুক্তি চূড়ান্ত করা হবে। 


ফারুখ ও ওমর আবদুল্লার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পেলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতারা 


এছাড়া রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরাতে ভারত ও বাংলাদেশ একযোগে কাজ করবে বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। ২০১৬ থেকে রোহিঙ্গা সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশ। মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা প্রতিদিন আরও দুর্ধর্ষ হয়ে উঠছে। রোহিঙ্গা শিবিরে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের ডেরা গড়ে উঠেছে বলেও খবর। রোহিঙ্গাদের নিজেদের দেশে ফেরাতে মায়ানমারের কাছে অনুরোধ করে তেমন লাভ হয়নি ঢাকার। রাষ্ট্রসংঘেও এই নিয়ে সরব হয়েছেন শেখ হাসিনা। এবার এই ইস্যুতে তিনি পাশে পেলেন মোদীকে।