নিজস্ব প্রতিবেদন: জল্পনা ছিলই। সেটাই কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে জানাল রাজ্য সরকার। ফলে শুরু হয়ে গেল কেন্দ্র-রাজ্য নতুন সংঘাত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ১০ ডিসেম্বর ডায়মন্ড হারবারে সভা করতে যাওয়ার পথে শিরাকোলে হামলা চালানো হয় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাডার কনভয়ে।  নাড্ডার গাড়ি ছাড়াও আক্রান্ত হন কৈলাস বিজয়বর্গীয় সহ বিজেপির একাধিক নেতার গাড়ি।


আরও পড়ুন-পৌষ মেলা বন্ধে সিলমোহর, এবার শুধুই পৌষ উত্সব বিশ্বভারতীতে


ওই ঘটনার পরই রাজ্যের ৩ আইপিএস অফিসারকের কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে তলব করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই তলবের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে চিঠি লিখলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেখানে লেখা হয়েছে, রাজ্যের হাতে আইএএস ও আইপিএসদের সংখ্যা খুবই কম। তাই কেন্দ্রের ডেপুটেশনে কাউকে পাঠানো যাবে না।


কাদের ডেপুটেশনে ডেকেছিল কেন্দ্র


 হামলার দিন নাড্ডার কর্মসূচির দায়িত্বে ছিলেন, ডায়মন্ড হারবারের পুলিস সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে, এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) রাজীব মিশ্র ও ডিআইজি (প্রেসিডেন্সি) প্রবীণ ত্রিপাঠি। ওই তিন জনকেই  কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে ডাকা হয়।


আরও পড়ুন-নাড্ডার ঘরণী বাঙালি কন্যা, বিবাহবার্ষিকীতে ছবি পোস্ট মল্লিকার  


কেন সংঘাতের সম্ভাবনা


নিয়ম অনুযায়ী কোনও আইএএস বা আইপিএস অফিসারককে কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে ডেকে নিতে পারে কেন্দ্র। তবে সেক্ষেত্রে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজ্য সরকার না চাইলে সাধারণভাবে ডেপুটেশনে তাদের নেওয়া হয় না। আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক চাইলে রাজ্যের আপত্তি সত্বেও ওই ৩ অফিসারকে ছেড়ে দিতে হবে রাজ্যকে। এখন এনিয়ে রাজ্য সরকার অনড় অবস্থান নেওয়ার ফলে সংঘাত শুরু হয়ে গেল।


এনিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় সাংবাদিকদের বলেন, ওইসব অফিসারকে রাজ্যের জন্য পাঠানো হয়েছে। ফলে এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। সেই সুযোগ রাজ্য সরকারের হাতে রয়েছে।