`কোনও গরীব মানুষ যেন না খেয়ে থাকে`, নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে নির্দেশ মমতার
এদিন বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশও দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনায় ভয় নয়। মোকাবিলা করতে হবে যুদ্ধকালীন তত্পরতায়। প্রশাসনিক বৈঠকে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন রাজ্যে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত থাকবে লকডাউন। তবে চালু থাকবে জরুরি পরিষেবাও। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে অগ্রিম বেতন নিতে পারবেন সরকারি কর্মীরা। সোমবার রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ভিডিয়ো কনফারেন্সে সব জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশও দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এক ঝলকে দেখে নিন কী কী বলেছেন তিনি:
জরুরি পরিষেবায় ছাড়, পরিযায়ী ঠিকাকর্মীদের জন্য ব্যবস্থা, রক্তদানের উদ্যোগের কথা বলেছেন তিনি।
* হাউজস্টাফ কাজ করতে চাইলে কাজ করতে দিন
* আতঙ্কিত হবেন না, সতর্ক থাকুন
* ইতিমধ্যে ২১০টির মতো ভেন্টিলেশন পাওযা গেছে, আরও ৩০০টি ভেন্টিলেশনের ওর্ডার দেওয়া হয়েছে। মোবাইল ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা হচ্ছে
* হার্ট এবং সুগারের রোগীরা সতর্ক থাকুন
* সামাজিক দূরত্ব মেনে চলুন
* সব সর্দি-কাশি করোনা নয়
* ডাক্তার নার্স আশা কর্মীদের সুস্থ থাকতে হবে, সকালে টিফিনে ডিম সেদ্ধ, কলা দেওয়ার নির্দেশ
* যাঁদের রেশন কার্ড নেই তাঁদের য়েন খাবার অভাব না হয়।
* পরিযায়ী শ্রমিক, গরীব মানুষদের যেন খাবার অভাব না হয়।
* বন্ধ কারখানার শ্রমিকদের খাবার ব্যবস্থা করতে হবে।
* ওষুধ সরবরাহকারীদের আটকানো যাবে না।
* ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বিমার ব্যবস্থা করতে হবে।
* কুরিয়র, আয়া, অ্যাম্বুলেন্স চালকদের জন্য বিমা।
* বিমার আওতায় থাকছে পুলিস, পরিবহন কর্মী, সাফাইকর্মীরাও।
* দক্ষিণবঙ্গের পাঁচটি জেলার জন্য নোডাল অফিসার নিয়োগ।
* সমস্ত সীমান্ত সিল করে দিতে হবে।