বিদ্যুত না থাকায় বন্ধ জল সরবারহ; জলে ডুবে ফসল, বুলবুলের দাপটে দুর্বিসহ অবস্থা হিঙ্গলগঞ্জের
সবকিছু তছনছ করে দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। বিদ্যুত্ নেই কয়েক দিন ধরেই। এলাকায় ভেঙে পড়েছে পাঁচশোরও বেশি বিদ্যুতের খুঁটি। বহু জায়গায় জল সরবারহ বন্ধ। সবেমিলিয়ে দুর্বিসহ অবস্থা হিঙ্গলগঞ্জের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সবকিছু তছনছ করে দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। বিদ্যুত্ নেই কয়েক দিন ধরেই। এলাকায় ভেঙে পড়েছে পাঁচশোরও বেশি বিদ্যুতের খুঁটি। বহু জায়গায় জল সরবারহ বন্ধ। সবেমিলিয়ে দুর্বিসহ অবস্থা হিঙ্গলগঞ্জের।
আরও পড়ুন-'গরুর দুধে সোনা' মন্তব্যে সমালোচনা, ইসকনে গিয়ে গোমাতার কাছে ক্ষমা চাইলেন ব্যথিত দিলীপ
বুলবুল আসার আগেই বিদ্যুত্ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় এলাকায়। ফলে পানীয় জল সরবারহ-সহ অন্যান্য পরিষেবা শিকেয় উঠেছে। এর মধ্যেই মোবাইল চার্জ দেওয়ার ব্যবসা ফেঁদে ফেলেছেন এক শ্রেণির মানুষ। জেনারেটর চালিয়ে মোবাইল চার্জ দিতে নেওয়া হচ্ছে ১০ টাকা। কোথাও ২০ টাকা।
সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ সারা বছর যে সমস্যায় ভোগে তা হল পানীয় জল। বিদ্যুত্ না থাকায় জল সরবারহ বন্ধ। ফলে চরম অসুবিধায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা। মাথায় হাত তাদের। কিভাবে ক্ষতি সামলাবেন বুঝে উঠতে পারছেন না কেউ। সবজির খেতে অনেক জায়গাতেই পচন ধরেছে। ফলে কয়েকদিনের মধ্যেই আগুন হতে পারে সবজি বাজার। লংকা, শাক, কপি, বেগুন, মুলো, পটলের র মতো অনাজ সবজি দাম বাড়বে। এমনটাই আশঙ্কা সবজি চাষীদের।
আরও পড়ুন-বুুলবুল-এর গতিবিধি ট্র্যাক করে রাজ্যবাসীর প্রাণ বাঁচিয়ে 'হিরো' আলিপুরের ডপলার রাডার
ঝড়-বৃষ্টিতে কোথাও ধান জলে ডুবেছে, নয়তো জমিতে শুয়ে পড়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই আমন ধান কাটার মরসুম। কোথাও কোথাও ধানে পাক ধরেছিল। এসব ধান নষ্ট হবে। চিন্তিত কৃষকেরা।