নিজস্ব প্রতিবেদন: সত্কারের কোনও ব্যবস্থা হল না। টানা বারো ঘণ্টারও বেশি সময় ঘরেই পড়ে করোনা পজিটিভ বৃদ্ধের মৃতদেহ। আতঙ্কে প্রতিবেশীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার বনগাঁ(Bangaon) মহকুমা হাসপাতালে লালরসের নমুনা দেন উত্তর ২৪ পরগনার চাঁদপাড়ার প্রাক্তন পুলিসকর্মী দুলাল চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী অর্চনা মজুমদার। পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। শুক্রবার রাতে দুলাবাবুর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরিবারের লোকজন একের পর এক জায়গায় ভর্তির জন্য যোগাযোগ করেও কোনও ফল পাননি। শুক্রবার ভোর তিনটে নাগাদ মৃত্যু হয় দুলালবাবুর। তার পর থেকে ঘরেই পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। ঘরে এখনও মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন তাঁর স্ত্রী অর্চনা।


আরও পড়ুন-বেসরকারি হাসপাতালে ৬০ শতাংশ বেড রাখতেই হবে Covid রোগীদের জন্য, কড়া নির্দেশিকা স্বাস্থ্য কমিশনের


দুলাল মজুমদারের ছেলে ইন্দ্রনীল মজুমদার বলেন, শেষদিকে বাবার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। এলাকার বহু সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করেও কোনও লাভ হয়নি। বাবা মারা যাওয়ার পর থানায় ফোন করেছিলাম। এছাড়াও আমার বন্ধু, দাদা, সব জায়গায় ফোন করেছেন যাতে বাবার দেহ দ্রুত সত্কার করা যায়। বিভিন্ন জায়গা থেকে আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এখনও সত্কার হল না। 


এনিয়ে স্বাস্থ্যকর্মী কাবেরী কর্মকার বলেন, ওদের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ ছিল। আমরা দুলালবাবুর ছেলেকে হেল্পলাইন নম্বর দিয়েছিলাম। সেখানে ওরা যোগাযোগ করেছিলেন। অ্যাম্বুল্যন্স পাঠানোর কথাও বলা হয়েছিল। এর মধ্যেই ওরা অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু শুক্রবার সকাল ছটা নাগাদ জানান দুলালবাবু মারা গিয়েছেন।


আরও পড়ুন-Oxygen, Covid Vaccine-র আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার মোদী সরকারের


সত্কারে বিলম্ব নিয়ে গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস বলেন, বিএমওএইচ(BMOH) ডেথ সার্টিফিকেট দিয়েছেন। করোনাতে যে মৃত্যু, তাও নিশ্চিত হয়েছে। এর নোডাল অফিসার হলেন বিডিও। পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষে থেকে বিডিওকে সেই সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। সেটি এসডিওর কাছে গেছে। কারণ শববাহী গাড়ির বিষয়টি দেখেন এসডিও। সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে মৃতদেহ সত্কারের ব্যবস্থা করছি।  রাতের দিকে সাধারণত এই ধরনের মৃতদেহ সত্কার করা হয়।