নিজস্ব প্রতিবেদন: আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব শুরু রাজ্য পুলিসের নয়, দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফও। ইটাহারে এমন মন্তব্য করে বিতর্কে জড়়ালেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত বিজেপি কর্মী মিঠুন ঘোষের খুনে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে একটি সভা করেন সায়ন্তন। সেখানেই তিনি বলেন, এখানে আইন শৃঙ্খলার দায়িত্ব শুধু পুলিসের নয়, বিএসএফেরও। জেলা সভাপতিকে বলব বিএসএফের সঙ্গে দেখা করুন, আমরাও কথা বলব। সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের পেট্রোলিং বাড়াতে হবে। তৃণমূলের গুন্ডাদের নামের তালিকা তৈরি করে বিএসএফকে দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।


আরও পড়ুন- Midnapore: কালীপুজোর আগে অভিযান পুলিসের, বাজেয়াপ্ত বিপুল পরিমাণ শব্দবাজি


তৃণমূলকে নিশানা করে সায়ন্তন বলেন, ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে বিএসএফ কেন আসছে জানেন? কারণ এখানে তৃণমূল কর্মীরা চোরাচালান করে। তৃণমূলের গুন্ডারা অসমাজিক কাজ করে। তারা পুলিসের সঙ্গে মিশে গিয়েছে। তাদের শিক্ষা দেওয়ার জন্যই এখানে বিএসএফ আসছে। কালই তৃণমূল গুন্ডাদের নামের তালিকা বিএসএফের কাছে দিয়ে আসুন।


আরও পড়ুন-ECL: খনির ভেতরে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে চলল গুলির লড়াই, ঢোকার পথ ঘিরে রেখেছে পুলিস-সিআইএসএফ 


সায়ন্তনের ওই মন্তব্য পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, রাজনৈতিকভাবে সম্পৃর্ণ দেউলিয়া হয়ে গিয়ে বিজেপি ব্যবহার করছে বিএসএফকে। বিএসএফের কাজ সীমান্ত পাহারা দেওয়া। তা তারা দিচ্ছেন না কেন? কে তাদের নিষেধ করেছে? যারা ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে দায়িত্ব পালন করতে পারেন না বলে অভিযোগ ওঠে তা ৫০ কিলোমিটার এলাকায় দায়িত্ব পালন করতে পারবেন এই কথাটা আসছে কোথা থেকে? সীমান্ত প্রহরা ভালো বা খারাপ যে ভাবেই দেওয়া হোক না কেন তা দায় তাদেরই। এর সঙ্গে আইনশৃঙ্খলার প্রশ্ন কোথায়? বিজেপির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সফাল করা জন্য বিএসএফ নাক গলাচ্ছে। এটাই সায়ন্তনের ভাষণ থেকে আরও স্পষ্ট হল। তাছাড়া উনি কুকথার জন্য বিখ্যাত। অনেক কিছু বলেও ভোটে হেরেছেন। এখন এসব কথা বলে প্রচারে ভেসে থাকতে চান।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)