নিজস্ব প্রতিবেদন : দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জীবনতলা থানার কুরিয়াভাঙা গ্রামে তিন তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় পুলিসের জালে কুখ্যাত দুষ্কৃতী বিশাল। জীবনতলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বিশালকে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে, গ্রামে কুতুবুদ্দিন শেখের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল কয়েকজন কুখ্যাত দুষ্কৃতী। এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে সেই বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হন তাঁরা। এলাকার মানুষজনের আসার খবর পেয়েই সেখান থেকে গা ঢাকা দেয় সেই দুষ্কৃতী দল। ঘটনার খবর পেয়ে মাছের ফিশারির 'আলাঘরে' উপস্থিত হন গ্রামের মানুষজন। সেখান থেকেও পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এরপর পিছু ধাওয়া করে জনা পঞ্চাশেক গ্রামবাসী। আর তখনই গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে তিন দুষ্কৃতী। অভিযোগ, দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে আহত হন তিনজন গ্রামবাসী। 


সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার কুড়িয়াভাঙা এলাকায়। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে খবর দুষ্কৃতীদের গুলিতে আহত ৩ ব্যক্তি মাজেদ গাজী, আলমগীর গাজী ও মোসলেম মোল্লা বর্তমানে কলকাতার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একজনের পেটে ও দুজনের পায়ে গুলি লেগেছে। অন্যদিকে এই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ধৃতদের মধ্যে একজন বিশাল দাস নামে কুখ্যাত দুষ্কৃতী। বিশালের বাড়ি হুগলির চুঁচুড়াতে। 


পুলিস সূত্রে খবর এই বিশাল দাসের বিরুদ্ধে একাধিক খুনের অভিযোগ আছে। বেশ কিছুদিন আগে এক ব্যক্তিকে খুন করার পর দেহ টুকরো টুকরো করে দিয়েছিল সে। এরপর সেখান থেকে সে গা ঢাকা দেয়। আশ্রয় নেয় জীবনতলা থানার কুতুবুদ্দিন শেখের বাড়িতে। কুতুবউদ্দিন বিশালের পূর্বপরিচিত বলেই পুলিসকে জানিয়েছে সে। সোমবার রাতের ঘটনার পর বারুইপুর জেলা পুলিসের একটি বিরাট টিম ওই এলাকায় আসে। শুরু হয়েছে তল্লাশির কাজ। দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এই আগ্নেয়াস্ত্র দিয়েই গুলি চালিয়ে ছিল বলে মনে করছে পুলিস। 


অন্যদিকে কুখ্যাত দুষ্কৃতী বিশাল দাসকে জেরা করতে চুঁচুড়া থেকে হুগলি জেলা পুলিসের একটি দল জীবনতলায় যাচ্ছে। উল্লেখ্য, গতকাল রাতে গুলিবিদ্ধ মাজেদ গাজী আলমগীর গাজী ও মোসলেম মোল্লা তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলে জানা গিয়েছে। এবিষয়ে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকাত মোল্লা বলেন, "দুষ্কৃতীরা এলাকায় অশান্তি তৈরি করার জন্যই ঢুকেছিল। এর পিছনে বিজেপির ষড়যন্ত্র আছে। এলাকা অশান্ত করতেই এই সব করা হচ্ছে।"


আরও পড়ুন, কালীপুজোয় বন্ধ বাজি? জগদ্ধাত্রী পুজোতেও মণ্ডপে NO ENTRY?