নিজস্ব প্রতিবেদন: শান্তিনিকেতনের রিসর্টে অবাধে চলছে নগ্ন ফোটোশ্যুট। এমনই কিছু ছবি সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হতেই শুরু হয় বিতর্ক। খোয়াই এলাকায় জনপ্রিয় রিসর্ট ‘শুকন্তলায়’ নগ্ন ফোটোশ্যুট করার অভিযোগ ওঠে। এ খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, যে খোয়াই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিভিন্ন লেখায় ধরা দিয়েছে, সেখানে এমন অপসংস্কৃতিতে নষ্ট হচ্ছে ঐতিহ্যের পরিবেশ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- সারদার 'মিসিং' লাল ডায়েরি কার কাছে? কী বললেন সুদীপ্ত সেন


খোয়াইয়ের ‘শকুন্তলায়’ প্রতি বছর পর্যটকরা ভিড় জমান সেখানকার গ্রাম্য পরিবেশের আনন্দ নিতে৷ আর ওই রিসর্টেই মালিক-কর্মচারিদের নাকের ডগায় অবাধে হচ্ছে নগ্ন ফোটোশ্যুট! ইতিমধ্যেই ওই রিসর্টের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে তোলা এক মহিলার নগ্ন ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। শান্তিনিকেতনের পাশাপাশি খোয়াই এলাকা সব থেকে আর্কষণীয় স্থান পর্যটকদের কাছে। এই এলাকা নষ্ট করায় সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকি বেআইনি নির্মাণেরও অভিযোগ উঠেছে।। 


নগ্ন ছবি ছড়িয়ে পড়তেই সব মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। অনেকে বলেন, শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যে আঘাত করা হচ্ছে। রূপপুর পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে শান্তিনিকেতন এর খোয়াই এলাকা। পঞ্চায়েতের উপপ্রধান এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেছেন,  আমরা আগেই এই ছবি দেখেছি। আমরা নিজেরাও বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি৷ প্রমাণ হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও পড়ুন- WBPSC Motor Vehicle Inspector Recruitment 2019: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিবহণ দফতরে একাধিক শূন্যপদে নিয়োগ


শান্তিনিকেতনের আশ্রমিকেরাও এর তীব্র নিন্দা করেছেন।  বিশ্বভারতীর প্রবীণ আশ্রমিক তথা কবিগুরুর শেষ বংশধর সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, ঘটনার দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত প্রশাসনের।  যদিও, হোটেল মালিক এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমাদের হোটেলের সুনাম রয়েছে। কে বা কারা করেছে বলতে পারব না।”