প্রদ্যুত্ দাস: ভোট হয়েছিল মোটের উপরে শান্তিতেই। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খারিজা বেরুবাড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়তের ১৭/১৩৭ নং বুথের বিজেপি প্রার্থী ছিলেন কল্যানী রায়। ভোট শেষ হবার পর কমিশনের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের ব্যালট পেপার একাউন্ট দেওয়া হয়। সেই একাউন্ট অনুযায়ী দেখা যায় গ্রামপঞ্চায়েত আসনে ওই দিন মোট ৯৭৪ টি ব্যালট পেপার ব্যাবহার করা হয়েছে। কমিশনের হিসাবের সঙ্গে বিজেপির পোলিং এজেন্টের হিসাব মিলে যাওয়ায় ব্যালট পেপার একাউন্ট নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন প্রার্থী কল্যানী রায়। কিন্তু গণনার দিন তাঁর চোখ ছানাবড়া।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-গণনার পরেই মারধর-ঘরবাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে


মঙ্গলবার গণনার সময় কাউন্টিং সেন্টারে হাজির হন বিজেপির কাউন্টিং এজেন্ট। এরপর গণনা শুরু হয়। গণনা শেষে জানিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছেন ৪৯১টি ভোট। বিজেপি পেয়েছে ৪০৫টি ভোট, কংগ্রেস পেয়েছে ৪০টি ভোট, বাতিল হয়েছে ১২৪ টি ভোট। এরপর প্রাপ্ত ভোট গুনতে গিয়ে চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় বিজেপি পোলিং এজেন্টের। যোগফলে দেখা ১০৬০টি ব্যালট ব্যাবহার হয়েছে। যা সেদিনের দেওয়া ব্যালট পেপার একাউন্টের থেকে ৮৬ টি ব্যালট পেপার বেশি। এরপর ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলে কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি প্রার্থী।


বিজেপি প্রার্থী কল্যানী রায় বলেন আমাদের সেইদিন সরকারি ভাবে যে হিসাব দেওয়া হয়েছিল সেই হিসাবের সঙ্গে আজকের হিসাব মেলেনি। ৮৬ টি বেশি ব্যালট পাওয়া গিয়েছে ব্যালট বক্সে। আমাদের দাবি তৃণমূলকে জেতানোর জন্য ভোট শেষের পর কোনও ভাবে বক্সে বেশি ব্যালট ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।


কল্যানী রায়ের আইনজীবী সুপ্রীতম নাগ বলেন এই ঘটনা আবার প্রমান করলো এই এখানেও ছাপ্পা হয়েছে। কিন্তু এরা হিসাব মেলাতে পারেনি। তাই ৮৬ টি ব্যলট বেশি ব্যাবহার করে ফেলেছে। তাই আমাদের দাবি এই আসনে রি পোলিং করতে হবে। এই দাবিতে আমরা কমিশনের দারস্থ হলাম।


বিজেপির দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাস। তিনি বলেন যথেষ্ট শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। আমদেরও অনেক কয়টি অভিযোগ রয়েছে। যা আমরা লিখিত ভাবে জানিয়েছি। যদি বিজেপি ফল দেখে সন্তুষ্ট না হয় তবে লিখিত অভিযোগ করুক।


দলের কর্মী ও আইনজীবী সুপ্রীতম নাগ বলেন, খরুজা বেরুবাড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭/১৩৭ নম্বর বুথে বিজেপি প্রার্থী ছিলেন কল্য়াণী রায়। ফর্ম নম্বর ১৮ অনুযায়ী ব্যালট পেপার ব্যবহার হয়েছে ৯৭৪টি। অর্থাত্ ৯৭৪টি পোলিং হয়েছে। এখন গণনার সময় দেখা যাচ্ছে তৃণমূল পেয়েছে ৪৯১টি ভোট, বিজেপি পেয়েছে ৪০৫টি ভোট, কংগ্রেস পেয়েছে ৪০টি ভোট। আর বাতিল হয়েছে ১২৪টি ভোট। হিসেব করলে দেথা যাচ্ছে ভোট পড়েছে ১০৪৪টি। তাহলে ৯৭৪টি পোলিং হলে ১০৪৪টি ভোট পড়ে কী করে! এই ৮৬ টি ভোট কীভাবে পড়ল। এই কারণে ওই বুথে পুনর্নিবাচন ও গণনার দাবি করছি আমরা।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)