Abhishek Banerjee: জনসংযোগে জনতার আবদার-আদরে অভিষেকের আঙুলে বাড়ল ব্যান্ডেডের সংখ্যা!
প্রথমে ছিল একটা। কিন্তু এখন জনসংযোগ কর্মসূচির দশম দিনে এসে দু-হাত মিলিয়ে সেই ব্যান্ডেডের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ৩-৪টেয় গিয়ে পৌঁছেছে। শুধু যে হাতের আঙুলে ব্যান্ডেডের সংখ্যা বেড়েছে, এমনটা নয়। এই ১০ দিনে গলাও ভেঙে গিয়েছে অভিষেকের।
প্রবীর চক্রবর্তী: 'তৃণমূলে নবজোয়ার' শুরু করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ২৫ এপ্রিল কোচবিহার দিয়ে শুরু করেছে জনসংযোগ যাত্রা। সেই জনসংযোগ যাত্রার ১০ দিন হতে চলেছে আগামিকাল বৃহস্পতিবার। শেষ দুদিন, আজ ও কাল, মালদাতেই জনসংযোগ কর্মসূচি রয়েছে অভিষেকের। আগামিকাল ইংরেজবাজারে অভিষেকের জনসংযোগ অধিবেশন মঞ্চে যোগ দেবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও। এদিকে উত্তরবঙ্গে অভিষেকের জনসংযোগ যত এগিয়েছে, ততই দেখা যাচ্ছে, তাঁর হাতের আঙুলে বেড়েছে ব্যান্ডডের সংখ্যা। প্রথমে ছিল একটা। কিন্তু এখন জনসংযোগ কর্মসূচির দশম দিনে এসে দু-হাত মিলিয়ে সেই ব্যান্ডেডের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ৩-৪টেয় গিয়ে পৌঁছেছে। দুহাতের অনেরগুলি ব্যান্ডেড এখন অভিষেকের! কিন্তু কেন?
অভিষেক ঘনিষ্ঠরা বলছেন, জনসংযোগ কর্মসূচিতে জনতার ভিড়ে মিশে যাচ্ছেন অভিষেক। অভিষেককে একপলক দেখতে জনতার ঢল নামছে। উৎসাহী জনতা তাঁকে ছুঁতে চাইছে। তাঁর সঙ্গে হাত মেলাতে চাইছে। আর অভিষেকও কাউকে না করছেন না। কাউকে নিরাশ করছেন না তিনি। কখনও জনতার আবদারে গাড়ির মাথায় চড়ছেন অভিষেক। আবার কখনও ঢাক বাজাচ্ছেন। রাস্তা ধরে এগোতে এগোতে হাত মেলাচ্ছেন সবার সঙ্গে। কেউ কেউ আবার ভিড়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিতে প্রিয় নেতার হাত ধরে টেনে ফেলছেন। ফলে চোট লেগে যাচ্ছে অভিষেকের হাতের আঙুলে। কখনও আবার হাতের নখ লেগেও কেটে যাচ্ছে। সবমিলিয়ে অভিষেকের হাতে বেড়ে চলেছে ব্যান্ডেড-এর সংখ্যা।
শুধু যে হাতের আঙুলে ব্যান্ডেডের সংখ্যা বেড়েছে, এমনটা নয়। এই ১০ দিনে গলাও ভেঙে গিয়েছে অভিষেকের। গ্রাম বাংলার মতামত কর্মসূচি নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন অভিষেক। রোজ ৫-৬টা করে সভা করছেন। ধকল তো আছে বটেই! ধকলে ইতিমধ্যেই অভিষেকের গলা ভেঙে গিয়েছে। কিন্তু সেসবকে থোড়াই কেয়ার! গলা ভাঙা নিয়েই কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন অভিষেক। জনসংযোগ যাত্রায় নেমে আমজনতার সঙ্গে মিশে যাওয়ার কোনও সুযোগই ছাড়ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কখনও সেলফি তুলতে আসা বালককে জড়িতে ধরছেন,কখনও কারও পোর্টালের ভিউ বাড়ানোর জন্য নিজের কথা বলছেন। কোথাও আবার বিনা নোটিসে ঢুকে পড়েছেন সাধারণ মানুষের ঘরেও। মিশে গিয়েছেন ঘরের ছেলের মতো।
যদিও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের গলা ভাঙাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। কিছু কটাক্ষের সুরেই তিনি বলেন, 'আমি সারা উত্তরবঙ্গ ঘুরে এলাম। আমার গলা ভাঙেনি। উনি দু'দিন ঘুরলেন, গলা ভেঙে গেল। সুখী লোক। আরামে রাজনীতি করেন। এসিতে থাকেন। মাঝেমাঝে বেরিয়ে শো-বাজি করতে হয়। হঠাৎ রোদে বেরোলে এরকম হয়।' প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েতের আগে 'তৃণমূলের নবজোয়ার' কর্মসূচি নিয়ে বলতে গিয়ে অভিষেক বলেছিলেন, 'টানা ২ মাস রাস্তাতেই থাকব। দিনহাটা থেকে জনসংযোগ যাত্রা শুরু করে দু-মাসে সাগর বা কাকদ্বীপে শেষ করব। প্রতিদিন ৪-৫ জনসভা করব।'
অভিষেকের কথায়, স্বজন পোষণ নয়, মানুষের স্বার্থে নিজেকে সমর্পণ করে কাজ করবে পঞ্চায়েতে এমন প্রতিনিধি দাঁড় করানোই তৃণমূলের লক্ষ্য। তাই 'তৃণমূলের নবজোয়ার'-এ থাকছে দুটি কর্মসূচি। এক, জনসংযোগ যাত্রা। দুই, গ্রাম বাংলার মতামত। পঞ্চায়েত পরিষ্কার করার লক্ষ্যে মানুষ যাকে সার্টিফিকেট দেবে তাঁকেই পঞ্চায়েতে দাঁড় করানো হবে বলে জোর গলায় ঘোষণা করেন অভিষেক।
আরও পড়ুন, Abhishek Banerjee: বালুরঘাট পুরসভা থেকেও অপসারিত প্রদীপ্তা চক্রবর্তী! দণ্ডিকাণ্ডে 'কড়া' অভিষেক
Krishna Kalyani: আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি? তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে আয়কর হানা!